কিডনির সমস্যায় শসা খাওয়া ১০টি উপকারিতা

অনেকের মনে হয়তো এই প্রশ্ন থেকে যায় শশা কি কিডনির জন্য ক্ষতিকর শসা খেলে কি পেটে গ্যাস হয় এছাড়া আরো বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন থাকে। শসা আমাদের শরীরের বর্জ্য পদার্থগুলো বের করে ফেলে খুব সহজে। এছাড়া শসাতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, কপার ও আঁশ যা আমাদের শরীর ও ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা খুব সহজে দূর করে দেয়।
আমাদের শরীর ও কিডনির জন্য শসা হচ্ছে খুবই কার্যকরী একটি খাবার। শসা আমাদের শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় খুব সহজেই শসা খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে এমন কি কিডনি ও পরিস্কার থাকে যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেয় তাদেরকে সারাদিনে দুই থেকে তিনটে শসা খাবার পরামর্শ দেয়।

পোস্ট সূচিপত্রঃ

  • কিডনির সমস্যা শসা খাওয়ার উপকারিতা
  • কিডনির সমস্যার শসা খাওয়া অপকারিতা
  • কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়
  • কিডনি সমস্যার লক্ষণ গুলো কি কি
  • কিডনির সমস্যার জন্য সাধারণত কোন পরীক্ষা করতে হয়
  • কিডনির সমস্যা হলে কি খাওয়া উচিত
  • কিডনির সমস্যা হলে কি খাওয়া উচিত না
  • কি কি কারণে কিডনির সমস্যা হয়
  • শেষ মন্তব্য

কিডনির সমস্যা শসা খাওয়ার উপকারিতা

শসায় ভিটামিন বি, থিয়ামিন (বি১), রাইবোফ্লাবিন (বি২), নিয়াসিন (বি৪), প্যানটোথেনিক, বি৫, বি৬, ফোলেট (বি৯), ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, গ্লুকোজ, স্নেহপদার্থ, ফাইবার, প্রোটিন, বিভিন্ন ধরনের খনিজ পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, লোহা, সোডিয়াম, দস্তা, ক্যালোরি, সব থেকে বেশি থাকে জলীয় পদার্থ। খাদ্য বিশেষজ্ঞরা জনপ্রিয় এই সবজিটির উল্লেখযোগ্য কিছু গুণের কথা তুলে ধরেছেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কিডনির পাথর গলানোসহ আরো নানা উপকারিতা সম্পর্কে।
  • উচ্চ জলীয় উপাদানঃ শসা প্রায় ৯৫% পানি থাকে, যা শরীরের ডিহাইড্রেশন রোধে সহায়ক এবং কিডনির কার্যক্রম উন্নত করতে পারে। পর্যাপ্ত পানি পানে কিডনিতে পাথর গঠনের ঝুঁকি কমে।
  • ডাইইউরেটিক প্রভাবঃ শসা প্রাকৃতিক ডাইইউরেটিক হিসেবে কাজ করে, যা প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এটি কিডনি থেকে বর্জ্য পদার্থ দ্রুত নির্গমনের মাধ্যমে কিডনির কার্যক্ষমতা উন্নত করতে পারে।
  • ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণঃ শসা পটাসিয়াম সমৃদ্ধ, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ কিডনির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, তাই শসা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধঃ শসায় ভিটামিন সি এবং বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং কিডনি কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  • লো ক্যালোরি এবং ডিটক্সিফাইং এফেক্টঃ শসা ক্যালোরি কম এবং এর ডিটক্সিফাইং প্রভাব রয়েছে, যা কিডনির জন্য উপকারী হতে পারে।
তবে, শসা খাওয়ার আগে কিডনি সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা তাদের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।  তাই কিডনিকে সুস্থ রাখা জরুরি। না হলে কিডনি ফেইলিউর, কিডনি ক্যান্সারসহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বাস্থ্যকর খাবার ও পানি পান করা কিডনিকে ভালো রাখে। কিডনির সমস্যা বিভিন্ন রকম হতে পারে এবং সঠিক ডায়েটারি পরিবর্তন ব্যক্তির বিশেষ অবস্থার উপর নির্ভর করে।

কিডনির সমস্যার শসা খাওয়া অপকারিতা

যদিও শসা সাধারণত স্বাস্থ্যকর এবং হাইড্রেটিং খাদ্য হিসেবে পরিচিত, কিডনির সমস্যা থাকলে শসা খাওয়ার কিছু সম্ভাব্য অপকারিতাও থাকতে পারে। যত দিন যাচ্ছে তত মানুষের বিভিন্ন ধরনের রোগ বেড়েই যাচ্ছে এই রোগ বাড়ার মূল কারণ হচ্ছে আপনি কোন খাবার খাচ্ছেন সেই খাবারে কতটুকু ভিটামিন প্রোটিন মিনারেল আছে সে খাবার কি আমাদের জন্য ক্ষতিকর সেটা কি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো সবকিছুই নিজের ভিতর নিজের সুস্থতা সব সময় নিজের কাছেই। কিডনির সমস্যার ক্ষেত্রে শসা খাওয়ার সম্ভাব্য অপকারিতাগুলো হলো।
  • উচ্চ পটাসিয়াম স্তরঃ শসায় পটাসিয়াম থাকে, যা সাধারণত স্বাস্থ্যকর। তবে, যদি কারো কিডনির সমস্যা থাকে এবং কিডনি পটাসিয়াম ঠিকমতো প্রক্রিয়াজাত করতে না পারে, তাহলে রক্তে পটাসিয়ামের স্তর বিপজ্জনকভাবে বেড়ে যেতে পারে, যা হার্টের কার্যক্রমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  • ওয়াটার রিটেনশনঃ শসা একটি ডাইইউরেটিক হওয়া সত্ত্বেও, এটি অনেক পানি ধারণ করে, যা কিছু ক্ষেত্রে শরীরে অতিরিক্ত তরল জমাতে পারে। যদি কারো কিডনি ঠিকমতো কাজ না করে, তাহলে শরীরে অতিরিক্ত তরল জমে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
  • অ্যালার্জিঃ কিছু মানুষের মধ্যে শসার প্রতি অ্যালার্জি থাকতে পারে, যা ত্বকের সমস্যা, হাঁচি, অথবা গলার সমস্যা তৈরি করত পারে।
  • ডায়রিয়া বা হজমের সমস্যাঃ অত্যধিক শসা খাওয়ার ফলে কিছু মানুষের হজমের সমস্যা, যেমন ডায়রিয়া হতে পারে।
  • ইউরিনারি সমস্যাঃ যেহেতু শসা প্রাকৃতিক ডাইইউরেটিক হিসেবে কাজ করে, তাই এটি অতিরিক্ত ইউরিন উৎপন্ন করতে পারে, যা কিছু মানুষের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে।
এই কারণে, কিডনি সমস্যার রোগীদের শসা বা অন্য কোনো খাদ্য গ্রহণের আগে ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বিশেষ করে যদি তাদের কিডনির কার্যক্ষমতা সীমিত থাকে বা তারা ডায়ালাইসিসে থাকেন, তাহলে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি হতে পারে।

কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়

কিডনির সমস্যার কারণে শরীরে বিভিন্ন স্থানে ব্যথা হতে পারে। এটি পেছনের পাঁজরের নিচের অংশে অনুভূত হওয়ার কথা। এই ব্যথা নড়াচড়া করে এবং কোমরের দুই পাশেও যেতে পারে। এই ব্যথা থেকে থেকে আসে, শোয়া-বসা বা কোনো কিছুতেই আরাম মেলে না। l কিডনি সমস্যায় ব্যথা মূল উপসর্গ নয়, এতে শরীরে পানি আসা, দুর্বলতা, অরুচি, বমির ভাব দেখা দেয়। কিডনির সমস্যায় সাধারণত যেসব স্থানে ব্যথা অনুভূত হয় তা হলো
  • পিঠের নিচের অংশঃ কিডনির সমস্যার একটি সাধারণ লক্ষণ হলো পিঠের নিচের অংশে ব্যথা, যা কিডনির অবস্থানের সাথে সম্পর্কিত। এই ব্যথা সাধারণত পাঁজরের নিচে এবং পিঠের মধ্যভাগে অনুভূত হয়।
  • পাশের অংশ (ফ্ল্যাঙ্ক পেইন): কিডনির সমস্যায় পাশের অংশে বা ফ্ল্যাঙ্কে ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা সাধারণত একপাশে বা উভয় পাশে অনুভূত হতে পারে এবং এটি স্থায়ী বা হঠাৎ করে তীব্র হতে পারে।
  • পেটের নিচের অংশঃ কিডনির সমস্যার কারণে পেটের নিচের অংশেও ব্যথা হতে পারে। এটি সাধারণত মূত্রনালীর সংক্রমণ বা কিডনি স্টোনের কারণে হতে পারে।
  • জানুর মধ্যে ব্যথাঃ কিছু ক্ষেত্রে কিডনির সংক্রমণ বা সমস্যা মূত্রনালীর সংক্রমণের কারণে জানুর মধ্যে ব্যথা হতে পারে।
  • মূত্রত্যাগের সময় ব্যথাঃ কিডনির সমস্যা থাকলে মূত্রত্যাগের সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া অনুভূত হতে পারে। এটি সাধারণত ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI) বা কিডনি স্টোনের লক্ষণ হতে পারে।
এই ধরনের ব্যথা যদি হয়, তবে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আর সাধারণ কোমরব্যথায় সাধারণত জ্বর হয় না (তবে টিউমার, টিবি ইত্যাদি ছাড়া)। দুর্বলতা, রক্তশূন্যতা, অরুচি, বমির ভাব ইত্যাদি আনুষঙ্গিক সমস্যা সাধারণত থাকে না। বিশ্রাম ও ব্যথানাশক ওষুধ সেবনে ভালো হয়; বন্ধ করলে ব্যথা আবার ফিরে আসে। কিডনির সমস্যা অনেক রকম হতে পারে, তাই সঠিকভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা জরুরি।

কিডনি সমস্যার লক্ষণ গুলো কি কি

কিডনি সমস্যার লক্ষণ বিভিন্ন হতে পারে এবং এটি নির্ভর করে সমস্যার ধরন ও গুরুতরতার উপর। আমাদের অনেকেরই জানা নেই, কিডনি রোগ প্রতিরোধযোগ্য। তবে সাধারণত ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কিডনির কর্মক্ষমতা নষ্ট হওয়ার আগে কিডনি বিকল হওয়ার উপসর্গ বোঝা যায় না বলে প্রতিরোধ করা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। কিডনি রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। সবার পক্ষে এই চিকিৎসা ব্যয় পরিচালনা সম্ভব হয় না। তবে সচেতন থাকলে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মত দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া, ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাব লাল হওয়া, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, কোমরের দুই পাশে ও তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা, শরীর-মুখ ফোলা ইত্যাদি লক্ষণ কিডনি রোগের সংকেত বহন করে। কয়েক মাস বা বছর চিকিৎসার পরও কিডনি রোগ ভালো না হলে এবং কিডনির কার্যক্ষমতা কমতে থাকলে সেটাকে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ বলে। ৮০ ভাগ লোকের কিডনি নষ্ট হয় ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও নেফ্রাইটিস (কিডনির বিভিন্ন সমস্যা)- এই তিন রোগের কারণে। সাধারণত কিডনি সমস্যার কিছু প্রধান লক্ষণ নিম্নলিখিত
  • মূত্রত্যাগের পরিবর্তনঃ মূত্রের রঙ, পরিমাণ, ঘনত্ব বা ফ্রিকোয়েন্সিতে পরিবর্তন দেখা যায়। মূত্রত্যাগের সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া অনুভব হতে পারে।
  • পিঠ বা ফ্ল্যাঙ্ক পেইনঃ পিঠের নিচের অংশ বা পাশের দিকে তীব্র ব্যথা হতে পারে, যা কিডনির অবস্থানের সাথে সম্পর্কিত।
  • ফোলা (এডেমা): কিডনি ঠিকমতো ফিল্টার করতে না পারলে শরীরে অতিরিক্ত তরল জমে যেতে পারে, যা মুখ, হাত, পা, বা পায়ের গোড়ালি ফোলাতে পারে।
  • বমি বমি ভাব এবং বমিঃ কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
  • ক্ষুধামন্দাঃ কিডনি সমস্যার কারণে ক্ষুধামন্দা হতে পারে।
  • শরীরের ক্লান্তি ও দুর্বলতাঃ কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে শরীর থেকে টক্সিন ঠিকমতো বের হতে পারে না, যা শরীরে ক্লান্তি এবং দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে।
  • ত্বকের সমস্যাঃ ত্বকে চুলকানি বা শুষ্কতা অনুভূত হতে পারে, কারণ কিডনি ঠিকমতো বর্জ্য পদার্থ বের করতে না পারলে তা ত্বকে প্রভাব ফেলতে পারে।
  • শ্বাসকষ্টঃ কিডনি সমস্যা থাকলে শরীরে অতিরিক্ত তরল জমতে পারে, যা ফুসফুসে চাপ সৃষ্টি করে এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
  • উচ্চ রক্তচাপঃ কিডনি সমস্যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে।
  • মূত্রে রক্তঃ কিডনির সংক্রমণ বা কিডনি স্টোনের কারণে মূত্রে রক্ত দেখা দিতে পারে।
যদি আপনি এই ধরনের লক্ষণগুলির মধ্যে কয়েকটি লক্ষ্য করেন, তবে দেরি না করে একজন ডাক্তার বা নেফ্রোলজিস্টের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কিডনি সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করলে তা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।

কিডনির সমস্যার জন্য সাধারণত কোন পরীক্ষা করতে হয়

কিডনির সমস্যার সঠিক নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষাগুলি সাধারণত কিডনির কার্যকারিতা, সংক্রমণ, এবং অন্যান্য সম্পর্কিত সমস্যাগুলি সনাক্ত করতে সহায়ক। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে বা উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদের যদি দেখা যায় প্রস্রাবে অ্যালবুমিন যাচ্ছে, এটা কিন্তু অশনিসংকেত যে তার কিডনি আক্রান্ত হচ্ছে।  কিডনির সমস্যার জন্য সাধারণত যেসব পরীক্ষা করা হয় তা হলো

ব্লাড টেস্ট (রক্ত পরীক্ষা)

  • Serum Creatinine: রক্তে ক্রিয়েটিনিনের স্তর পরিমাপ করে কিডনির কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা হয়।
  • Blood Urea Nitrogen (BUN): রক্তে ইউরিয়া নাইট্রোজেনের স্তর পরিমাপ করে কিডনির কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা হয়।
  • EGFR (Estimated Glomerular Filtration Rate): রক্তের ক্রিয়েটিনিনের স্তরের ভিত্তিতে কিডনির কার্যকারিতা নির্ণয় করা হয়।

ইউরিন টেস্ট (মূত্র পরীক্ষা)

  • Urinalysis: মূত্রের সাধারণ পরীক্ষা, যা মূত্রে প্রোটিন, গ্লুকোজ, রক্ত, এবং অন্যান্য অস্বাভাবিকতা পরীক্ষা করে।
  • Urine Protein: মূত্রে প্রোটিনের উপস্থিতি পরিমাপ করা হয়, যা কিডনির ক্ষতির একটি সূচক হতে পারে।
  • 24-hour Urine Collection: ২৪ ঘণ্টার মূত্র সংগ্রহ করে প্রোটিন, ক্রিয়েটিনিন, এবং অন্যান্য উপাদানের মাত্রা নির্ণয় করা হয়।

ইমেজিং টেস্ট (চিত্রায়ণ পরীক্ষা)

  • Ultrasound: কিডনির আকার, আকৃতি, এবং কাঠামো পরীক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়।
  • CT Scan (Computed Tomography): কিডনি, মূত্রনালী, এবং মূত্রথলির বিস্তারিত চিত্র প্রদান করে।
  • MRI (Magnetic Resonance Imaging): কিডনি এবং মূত্রনালীর কাঠামো এবং কার্যকারিতা নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়।

বায়োপসি (কিডনি বায়োপসি)

কিডনি থেকে একটি ছোট টিস্যু নমুনা সংগ্রহ করে মাইক্রোস্কোপিক পরীক্ষা করা হয়। এটি কিডনি রোগের ধরন এবং মাত্রা নির্ণয় করতে সাহায্য করে।
  • Blood Pressure Measurement (রক্তচাপ মাপা)
উচ্চ রক্তচাপ কিডনি সমস্যার একটি সাধারণ লক্ষণ হতে পারে, তাই নিয়মিত রক্তচাপ মাপা হয়।
কিডনির সমস্যা শনাক্ত করার জন্য এই পরীক্ষাগুলি প্রয়োজনীয় হতে পারে। আপনার ডাক্তার বা নেফ্রোলজিস্ট আপনার লক্ষণ এবং অবস্থার ভিত্তিতে কোন পরীক্ষা করবেন তা নির্ধারণ করবেন।

কিডনির সমস্যা হলে কি খাওয়া উচিত

কিডনির সমস্যা হলে খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাদ্যাভ্যাস কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং কিডনি ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সহায়ক হতে পারে। কিডনির সমস্যা থাকলেও দিনে ১টা ডিম, দুপুর ও রাতের খাবারে ২ টুকরা মাছ বা মাংস, ৩ বা ৪ টেবিল চামচ ডাল খেতে বাধা নেই। তবে রেড মিট মানে গরু বা খাসির মাংসের পরিবর্তে মুরগির মাংস ও মাছ খাওয়া ভালো। কিডনির সমস্যার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত খাদ্য নির্দেশিকা অনুসরণ করা উচিত

কম প্রোটিনযুক্ত খাবার

  • কম প্রোটিনযুক্ত খাদ্য কিডনির উপর চাপ কমাতে সাহায্য করে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে যাতে শরীরের প্রয়োজন মেটানো যায়।
  • উদাহরণ ছোট পরিমাণে মুরগির মাংস, মাছ, ডাল, এবং ডিমের সাদা অংশ।

কম সোডিয়ামযুক্ত খাবার

  • অতিরিক্ত লবণ (সোডিয়াম) গ্রহণ কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং উচ্চ রক্তচাপ বাড়াতে পারে।
  • নিরামিষ এবং অল্প বা নিরামিষ পোষ্টাসিয়ামযুক্ত লবণ অতিরিক্ত সোডিয়াম পরিমাণ থাকতে সাহায্য করে।
  • অল্প লবণের খাবার সোডিয়ামের পরিমাণ কমায়, যেমন পোষ্টাসিয়াম যুক্ত লবণ পরিমাণ কমায়, তাপদল খাবার, সাদা ছোলার চাল, স্যালাড, ইত্যাদি।
  • উদাহরণ কম লবণযুক্ত স্যুপ, স্যালাড, এবং প্রস্তুত খাবার।

পটাসিয়াম নিয়ন্ত্রণ

  • কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে রক্তে পটাসিয়াম জমে যেতে পারে যা হার্টের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই পটাসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • উচ্চ পটাসিয়ামযুক্ত খাবার: কলা, কমলা, আলু, টমেটো, পালং শাক (এসব পরিহার করতে হতে পারে)।
  • কম পটাসিয়ামযুক্ত খাবার: আপেল, বেরি, আঙ্গুর, বাঁধাকপি।

ফসফরাস নিয়ন্ত্রণ

  • কিডনি ঠিকমতো ফসফরাস ফিল্টার করতে না পারলে হাড় দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই ফসফরাস নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • উচ্চ ফসফরাসযুক্ত খাবার: দুগ্ধজাত খাবার, বাদাম, চকলেট (এসব পরিহার করতে হতে পারে)।
  • কম ফসফরাসযুক্ত খাবার: কুমড়া, পেঁপে, সবুজ বিন।

হাইড্রেশন

  • পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি, তবে অতিরিক্ত পানি পান করা থেকেও বিরত থাকতে হবে। আপনার ডাক্তার বা ডায়েটিশিয়ান পানি পানের পরিমাণ নির্ধারণ করবেন।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করা শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সহায়ক, তবে অতিরিক্ত পানি পানের ফলে কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে।
  • অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ শরীরে পানি ধারণ করতে পারে, যা কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি করে। তাই খাদ্যে লবণের পরিমাণ কম রাখা উচিত।
  • সাধারণত, কিডনি রোগীদের দৈনিক ১.৫ থেকে ২ লিটার পানি পান করতে বলা হয়, তবে এটি নির্ভর করে কিডনির কার্যকারিতা, শরীরের আকার ও ওজন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার উপর।
  • কিছু ফলের রস ও স্যুপে অতিরিক্ত সোডিয়াম ও পটাসিয়াম থাকতে পারে, যা কিডনির রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই এধরনের খাবার পরিমাণমতো গ্রহণ করা উচিত।

স্বাস্থ্যকর চর্বি

  • স্বাস্থ্যকর চর্বি গ্রহণ করতে হবে, যেমন অলিভ অয়েল, এভোকাডো, বাদাম।
  • নিয়ন্ত্রিত খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে চর্বি পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত করা উচিত। প্রতিটি খাবারের মাত্রা এবং সংখ্যা বিবেচনা করা উচিত।
  • প্রতি দিন প্রয়োজনীয় পানি গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। তবে কিডনি সমস্যায় পানি গ্রহণে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
  • কিডনি সমস্যায় স্বাস্থ্যকর চর্বির জন্য প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টির উৎস হিসেবে সবজি এবং ফলের গুণগত মান গড়ে তোলা উচিত।
  • কিডনি সমস্যায় স্বাস্থ্যকর চর্বির জন্য প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাছ, মাংস, ডিম, পালং শাক, দুধ, পানির গটকা পণ্য প্রবাহিত করা উচিত।
  • কিডনি সমস্যায় প্রোটিনের মাত্রা নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে ডাক্তার বা ডায়েটিশিয়ান সহায়তা করতে পারেন।

কম চিনি

  • কিডনি রোগের রোগীদের কম চিনি এবং পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
  •  অতিরিক্ত চিনি খাওয়া ক্যালরিফিকেশনের ঝাঁক এবং ওজন বাড়ানোর প্রধান উৎস হিসাবে কাজ করে, যা কিডনির সমস্যার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • কিডনির সমস্যা সামনে আসতে পারে ডায়াবেটিস বা মেটাবলিক সিন্ড্রোমের কারণে, এবং চিনি এই অবস্থার জন্য অধিক প্রতিবন্ধী হতে পারে।
  • চিনির GL উচ্চ হতে পারে, যা কিডনির পাশে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
  • চিনি একটি উচ্চ GI খাবার, যা প্রায়শই ত্রিপ্টোফান থেকে গলিয়ে যায়, যা কিডনি কার্যক্ষমতার জন্য অসুখজনক হতে পারে।

কিডনির সমস্যা হলে কোন খাবার এড়ানো উচিত

  • অতিরিক্ত প্রোটিন: উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার কিডনির উপর চাপ বাড়াতে পারে।
  • অতিরিক্ত লবণ: প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিপস, পিজ্জা, এবং অন্যান্য লবণযুক্ত খাবার এড়ানো উচিত।
  • উচ্চ পটাসিয়ামযুক্ত খাবার: কলা, কমলা, আলু, টমেটো ইত্যাদি।
  • উচ্চ ফসফরাসযুক্ত খাবার: দুগ্ধজাত খাবার, চকলেট, বাদাম।
  • অতিরিক্ত চিনি: মিষ্টি পানীয়, ক্যান্ডি, কেক ইত্যাদি।
কিডনি সমস্যার রোগীদের জন্য খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ, তাই একজন ডায়েটিশিয়ান বা ডাক্তার থেকে পরামর্শ নেওয়া সর্বোত্তম। তাঁরা আপনার শারীরিক অবস্থার ভিত্তিতে একটি ব্যক্তিগতকৃত খাদ্য পরিকল্পনা তৈরি করতে পারবেন।

কিডনির সমস্যা হলে কি খাওয়া উচিত না

কিডনি রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দীর্ঘমেয়াদি কিডনি সমস্যা বা কিডনি অকার্যকর হওয়ার প্রধানতম কারণ অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস। এ ছাড়া যাঁরা অনেক দিন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্যথার ওষুধ খাচ্ছেন, যাঁদের অটোইমিউন রোগ (শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সুস্থ অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে আক্রমণ করে) আছে, তাঁদের কিডনি রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারও কিডনির কার্যকারিতা তিন মাসের বেশি সময় ধরে কম বা ক্রমাগত কমে যেতে থাকলে তাকে বলে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি সমস্যা (ক্রনিক কিডনি ডিজিজ)।
কিডনি সমস্যা ধরা পড়ার পর অনেকেই প্রোটিন বা আমিষ–জাতীয় খাবার খাওয়া একদম কমিয়ে দেন। গবেষণায় দেখা গেছে, আমিষ–জাতীয় খাবার অত্যধিক কমিয়ে দিলে পুষ্টিহীনতা হয়। এতে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায় এবং মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। কিডনির সমস্যা হলে নিম্নলিখিত খাবার এবং পদার্থ খাওয়া উচিত নয়
  1. অতিরিক্ত প্রোটিন: অতিরিক্ত প্রোটিন খাবার কিডনির কার্যক্ষমতা প্রভাবিত করতে পারে। গবেষণা প্রদর্শন করেছে যে, কিডনির সমস্যা থাকলে প্রোটিনের পরিমাণ সীমাবদ্ধ থাকা উচিত।

  2. অধিক লবণ: অধিক লবণ খাবার কিডনির সমস্যার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। তাই, অতিরিক্ত লবণের খাবার খাওয়া উচিত নয়।

  3. অধিক পোষ্টাসিয়াম: অধিক পোষ্টাসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া কিডনির সমস্যার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, কারণ কিডনি পোষ্টাসিয়ামের মেটাবলিজম করতে অসমর্থ হয়।

  4. অধিক শর্করা: অধিক শর্করা খাবার খাওয়া কিডনির চাপ বা চর্বি সংক্রমণের বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

  5. অতিরিক্ত লিমিট: অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যেমন প্রস্তুত খাবার, ব্যবসায়িক খাবার পণ্য, খাবার যেমন পিজা, বার্গার, ফ্রাইড চিকেন, স্যালাড ড্রেসিং, সোডা, সুইটস, মিষ্টি বা চিনি অন্তর্ভুক্ত খাবার কিডনির সমস্যার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে।

আপনি আপনার ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে নিজের খাদ্য পদ্ধতি নির্ধারণ করতে পারেন যাতে আপনি কিডনির সমস্যা সম্পর্কে সাবধানতা অবলম্বন করতে পারেন। আপনার ডাক্তার বা নামী ডায়েটিশিয়ান আপনাকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করার জন্য সূচিপত্র প্রদান করবেন। অতিরিক্ত প্রোটিন খাবার কিডনির কার্যক্ষমতা প্রভাবিত করতে পারে। গবেষণা প্রদর্শন করেছে যে, কিডনির সমস্যা থাকলে প্রোটিনের পরিমাণ সীমাবদ্ধ থাকা উচিত।

অধিক লবণঃ অধিক লবণ খাবার কিডনির সমস্যার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। তাই, অতিরিক্ত লবণের খাবার খাওয়া উচিত নয়।

অধিক পোষ্টাসিয়ামঃ অধিক পোষ্টাসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া কিডনির সমস্যার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, কারণ কিডনি পোষ্টাসিয়ামের মেটাবলিজম করতে অসমর্থ হয়।

অধিক শর্করাঃ অধিক শর্করা খাবার খাওয়া কিডনির চাপ বা চর্বি সংক্রমণের বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

অতিরিক্ত লিমিটঃ অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যেমন প্রস্তুত খাবার, ব্যবসায়িক খাবার পণ্য, খাবার যেমন পিজা, বার্গার, ফ্রাইড চিকেন, স্যালাড ড্রেসিং, সোডা, সুইটস, মিষ্টি বা চিনি অন্তর্ভুক্ত খাবার কিডনির সমস্যার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে।

আপনি আপনার ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে নিজের খাদ্য পদ্ধতি নির্ধারণ করতে পারেন যাতে আপনি কিডনির সমস্যা সম্পর্কে সাবধানতা অবলম্বন করতে পারেন। আপনার ডাক্তার বা নামী ডায়েটিশিয়ান আপনাকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করার জন্য সূচিপত্র প্রদান করবেন।

কি কি কারণে কিডনির সমস্যা হয়

ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপকে বর্তমানে কিডনি রোগের প্রধান ঝুঁকির কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হার্ট ও মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহে ব্যাঘাত, হঠাৎ কিডনি অকেজো হওয়া, স্থুলতা এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের কারণেও কিডনি রোগ হয়। এছাড়া ধূমপায়ী এবং ষাটোর্ধ্ব বয়সীদের কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। কিডনির সমস্যার হিসাবে মূলত পাঁচটি কারণ সম্পর্কে সাধারণত আলোচনা করা হয়
  • ডায়াবেটিস সাধারণত ডায়াবেটিস কিডনি সমস্যা এবং অস্থির রক্তচাপের জন্য একটি প্রধান কারণ হিসাবে মন্য হয়।
  • উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্ট রোগ উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্ট রোগ কিডনির সমস্যার জন্য একটি ঝুঁকি হতে পারে।
  • উচ্চ কোলেস্টেরল এবং অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার রক্তচাপের উচ্চ রেজেস্টিংগ এর জন্য একটি ঝুঁকি হতে পারে.
  • উচ্চ শর্করা এবং অস্থির খাদ্য রুচি হিসাবে পরিচিত করা হয়েছে.
  • জেনেটিক অস্থিরতা এবং ফ্যামিলি হিসাবে পরিচিত করা হয়েছে কিছু কিডনি রোগ সাধারণত পরিবারের মধ্যে উপস্থিত থাকে।
  • প্রতিরক্ষা ত্রুটি কিছু কিডনি রোগ কেমন লুপাস, ইনফ্ল্যামেটরি বা ওটো ইমিউনোগ্লোবুলিন নেফ্রোপাথি সাধারণত সাথে আসে।
  • অনিরোধক ব্যবহার অতিরিক্ত ওষুধ বা অলকোহল ব্যবহারের ফলে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
  • অধিক মস্তিষ্ক ব্যবহার অধিক মস্তিষ্ক ব্যবহার পরিকল্পিত করা হয়েছে এবং এটি কিডনির প্রতিরক্ষা করতে অসমর্থ করতে পারে।
  • শারীরিক পরিবর্তন যেমন গর্ভাবস্থা, মেধাবিশিষ্ট ওজন বা অতিরিক্ত চর্বি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  • কোলকিলিটস এই অস্থির রোগের সাথে কিডনি সমস্যা সংঘটিত হতে পারে।
এই অবস্থাগুলি আপনার কিডনি স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এবং কারণে কিডনির সমস্যার ঝুঁকি হতে পারে।

শেষ মন্তব্য

 মূলত এটি একটি গম্ভীর এবং জীবনপ্রতিষ্ঠানী সমস্যা হতে পারে। এটি একে অপরের সাথে তাল্লুক রাখে, কারণ কিডনি নিজে নিজেকে মূল্যায়িত করে ও সামগ্রিক শরীরের সাথে বৈচিত্র্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করে। কিডনির সমস্যা মূলত শারীরিক পরিবর্তন, অনুসরণযোগ্য খাদ্য ও জীবনযাত্রা পরিবর্তন করে অন্যান্য স্বাস্থ্যসম্পর্কিত সমস্যাগুলি সমাধান করতে সাহায্য করতে পারে। সহায়তা পেয়ে এবং ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা ব্যক্তিগত যত্ন নেওয়া উচিত। নিরাপদ ও প্রভাবশালী চিকিত্সা প্রাপ্ত করতে কিছু অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন যোগাযোগে অপরিহার্য হতে পারে।

কিডনির সমস্যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নতির প্রক্রিয়াকে উন্নত করার জন্য একটি সম্মানজনক পরিমাণ সময় এবং প্রবৃদ্ধির সাথে অনুভূতি করা উচিত। পরিবর্তনের এই যাত্রায় চিকিত্সক, পরিবার এবং সমর্থকদের আপেক্ষিকভাবে সহায়তা ও সমর্থন সরবরাহ করা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url