ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সকালে খালি পেটে পান করুন সাতটি পানীয়
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য সকালে বাসিমুখে খালি পেটে পান করুন কিছু ঘরোয়া
উপায়ে তৈরি এই পাঁচটি পানীয়। এই পানীয় গুলো আপনার ত্বককে ফর্সা এবং উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধির সাথে সাথে স্বাস্থ্যের জন্য বয়ে আনবে অনেক সুফল। এছাড়া জানব সকালে খালি
পেটে পানি এগুলো কেন খাবেন।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য আমরা অনেক কিছু করে থাকি, যেমনঃ লেজার ট্রিটমেন্ট,
ফর্সা হওয়ার ক্রিম ব্যবহার সহ আরো অনেক কিছু। কিন্তু হাতের কাছে পাওয়া কিছু সহজ
উপাদান দিয়ে তৈরি পানীয় যদি আমরা সকালে খালি পেটে পান করতে পারি তাহলে ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির এই কাজটি সহজেই করতে পারি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সকালে খালি পেটে পান করুন এই সাতটি পানীয়
- সকালে খালি পেটে এই পানীওগুলো কেন খাবেন
- এলোভেরা আর লেবু মুখে দিলে কি হয়
- এলোভেরা ও লেবু মিশ্রণ ব্যবহার করার পদ্ধতি
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে শসা লেবুর পানীয়
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে বিটরুট
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়
- শেষ মন্তব্য
সকালে খালি পেটে এই পানীওগুলো কেন খাবেন
খালি পেটে পানি পান করলে সেটি আমাদের পরিপাকতন্ত্র নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এ
জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে আমরা মলত্যাগের তাগিদ অনুভব করে খাকি। এর ফলে
সকালে খালি পেটে পানি পান করলে তা আমাদের অন্ত্র পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। বেশি
বেশি পানি পান করলে সেটি আপনাকে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
গরম পানি
- উপকারিতাঃ হজমশক্তি উন্নত করে, বিপাকক্রিয়া বাড়ায়, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে, এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
- খালি পেটে গরম পানি পান করাঃ সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গরম পানি পান করা হজমশক্তি উন্নত করে এবং শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে।
- খাবারের পর গরম পানি পান করাঃ খাবারের ৩০ মিনিট পর এক গ্লাস গরম পানি পান করা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং বদহজম থেকে মুক্তি দেয়।
- সঠিক তাপমাত্রাঃ পানি যেন খুব বেশি গরম না হয়। উষ্ণ গরম পানি সর্বোত্তম। এটি খাওয়ার জন্য উপযুক্ত এবং সহনশীল।
গরম পানিতে লেবুর রস
- উপকারিতাঃ ভিটামিন সি-এর ভালো উৎস, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হজমশক্তি উন্নত করে, লিভার পরিষ্কার রাখে, এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- হজমশক্তি উন্নত করেঃ লেবুর রস হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি পিত্তের উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং হজমপ্রক্রিয়া সহজ করে।
- ডিটক্সিফিকেশনঃ লেবু একটি প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার। এটি লিভার পরিষ্কার রাখতে সহায়ক এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে।
- ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করেঃ লেবুর রসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ পুনরুদ্ধারে সহায়ক এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করে।
- শরীরের পিএইচ ব্যালেন্স নিয়ন্ত্রণে সহায়কঃ যদিও লেবু অ্যাসিডিক, এটি শরীরে অ্যালক্যালাইন প্রভাব ফেলে যা শরীরের পিএইচ ব্যালেন্স বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- শক্তি বৃদ্ধি করেঃ লেবুর সুগন্ধ ও পুষ্টিগুণ মেজাজ উন্নত করে এবং শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে।
গোলাপ জল মিশ্রিত পানি
- উপকারিতাঃ ত্বকের জন্য উপকারী, শরীরকে ঠান্ডা রাখে, এবং হজমশক্তি উন্নত করে।
- হজমশক্তি উন্নত করেঃ গোলাপ জল হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং বদহজম, গ্যাস, এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক।
- ত্বকের জন্য উপকারীঃ গোলাপ জল ত্বকের জ্বালা ও প্রদাহ কমায়। এটি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়।
- ডিটক্সিফিকেশনঃ গোলাপ জল শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। এটি লিভার এবং কিডনিকে পরিষ্কার রাখতে সহায়ক।
- মেজাজ উন্নত করেঃ গোলাপ জলের মনোমুগ্ধকর সুগন্ধ মেজাজ উন্নত করতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক। এটি মানসিক প্রশান্তি ও স্বস্তি দেয়।
- প্রদাহ কমায়ঃ গোলাপ জল প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি। এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- ইমিউনিটি বুস্ট করেঃ গোলাপ জল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
মধু মিশ্রিত গরম পানি
- উপকারিতাঃ শরীরের শক্তি বাড়ায়, হজমশক্তি উন্নত করে, কফ কমায়, এবং মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- হজমশক্তি উন্নত করেঃ মধু হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক প্রিবায়োটিক যা অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি বাড়ায় এবং বদহজম দূর করে।
- ওজন কমাতে সহায়কঃ মধু মিশ্রিত গরম পানি মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন কমাতে সহায়ক। এটি শরীরের ফ্যাট দ্রুত পুড়তে সাহায্য করে।
- ইমিউনিটি বুস্ট করেঃ মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ঠান্ডা, সর্দি ও কাশির মতো রোগ থেকে রক্ষা করে।
- শরীরের ডিটক্সিফিকেশনঃ মধু মিশ্রিত গরম পানি শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। এটি লিভারকে সক্রিয় রাখে এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়।
- শক্তি বাড়ায়ঃ মধু প্রাকৃতিক সুগার যা তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে। এটি ক্লান্তি কমায় এবং শরীরকে উদ্যমী করে।
- ত্বকের জন্য উপকারীঃ মধু ত্বককে হাইড্রেট করে এবং ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়। এটি ত্বকের অ্যান্টি-এজিং প্রক্রিয়াতে সহায়ক।
- গলা ব্যথা কমায়ঃ গরম পানি ও মধু মিশ্রিত পানীয় গলার ব্যথা কমাতে এবং কফ দূর করতে সহায়ক।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার পানি
- উপকারিতাঃ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, হজমশক্তি উন্নত করে, এবং ওজন কমাতে সহায়ক।
- হজমশক্তি উন্নত করেঃ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার (ACV) হজমশক্তি বাড়ায় এবং গ্যাস ও বদহজম দূর করতে সহায়ক। এটি অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে।
- ওজন কমাতে সহায়কঃ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার (ACV) মেটাবলিজম বাড়ায় এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এটি শরীরের ফ্যাট দ্রুত পুড়তে সাহায্য করে।
- রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়কঃ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার (ACV) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
- শরীরের ডিটক্সিফিকেশনঃ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার (ACV) শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সহায়ক। এটি লিভার এবং কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- ইমিউনিটি বুস্ট করেঃ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার (ACV) তে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করেঃ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার (ACV) ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স বজায় রাখতে সহায়ক, যা ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
- শক্তি বৃদ্ধি করেঃ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার (ACV) প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং ক্লান্তি কমায়।
আদা চা
- উপকারিতাঃ হজমশক্তি বাড়ায়, প্রদাহ কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এবং বমিভাব দূর করে।
- অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণঃ আদার মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বকের ফ্রি র্যাডিকাল দূর করে। এটি ত্বকের বার্ধক্য রোধ করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ রাখে।
- রক্ত সঞ্চালন উন্নত করেঃ আদা চা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যা ত্বকের কোষে পুষ্টি সরবরাহ করে। এটি ত্বককে আরও স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল করে তোলে।
- প্রদাহ কমায়ঃ আদার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা ব্রণ ও অন্যান্য ত্বকের সমস্যার সমাধান করে।
- ডিটক্সিফিকেশনঃ আদা চা শরীরের টক্সিন দূর করতে সহায়ক, যা ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
- হাইড্রেশনঃ আদা চা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজড ও কোমল রাখে।
মেথি ভেজানো পানি
- উপকারিতাঃ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক, হজমশক্তি উন্নত করে, এবং ওজন কমাতে সহায়ক।
- অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণঃ মেথির মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বকের ফ্রি র্যাডিকাল দূর করে। এটি ত্বকের বার্ধক্য রোধ করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ রাখে।
- প্রদাহ কমায়ঃ মেথির অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা ব্রণ ও অন্যান্য ত্বকের সমস্যার সমাধান করে।
- রক্ত সঞ্চালন উন্নত করেঃ মেথি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যা ত্বকের কোষে পুষ্টি সরবরাহ করে এবং ত্বককে আরও স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল করে তোলে।
- ডিটক্সিফিকেশনঃ মেথি ভেজানো পানি শরীরের টক্সিন দূর করতে সহায়ক, যা ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
- হাইড্রেশনঃ মেথি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজড ও কোমল রাখে।
তুলসী পাতা মিশ্রিত পানি
- উপকারিতাঃ প্রদাহ কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এবং হজমশক্তি উন্নত করে।
- অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণঃ তুলসী পাতায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বকের ফ্রি র্যাডিকাল দূর করে। এটি ত্বকের বার্ধক্য রোধ করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ রাখে।
- প্রদাহ কমায়ঃ তুলসীর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা ব্রণ ও অন্যান্য ত্বকের সমস্যার সমাধান করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ তুলসী পাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বককে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাল ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে।
- ডিটক্সিফিকেশনঃ তুলসী পাতা শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে, যা ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
- হাইড্রেশনঃ তুলসী পাতা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজড ও কোমল রাখে।
গ্রীন টি
- উপকারিতাঃ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস, মেটাবলিজম বাড়ায়, ওজন কমাতে সাহায্য করে, এবং হজমশক্তি উন্নত করে।
- অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণঃ গ্রীন টি তে প্রচুর পরিমাণে ক্যাটেচিন নামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বকের ফ্রি র্যাডিকাল দূর করে এবং বার্ধক্য রোধ করে।
- প্রদাহ কমায়ঃ গ্রীন টি তে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে, যা ত্বকের প্রদাহ কমাতে এবং ব্রণ নিরাময়ে সহায়ক।
- ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখেঃ গ্রীন টি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা ত্বককে কোমল ও মসৃণ রাখে।
- ত্বকের টোন উন্নত করেঃ গ্রীন টি নিয়মিত পান করলে ত্বকের টোন উন্নত হয় এবং ত্বক আরও উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
জিরা ভেজানো পানি
- উপকারিতাঃ হজমশক্তি উন্নত করে, প্রদাহ কমায়, এবং মেটাবলিজম বাড়ায়।
- অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণঃ জিরাতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বকের ফ্রি র্যাডিকাল দূর করে এবং বার্ধক্য রোধ করে।
- ডিটক্সিফিকেশনঃ জিরা ভেজানো পানি শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সহায়ক, যা ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
- প্রদাহ কমায়ঃ জিরার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা ব্রণ ও অন্যান্য ত্বকের সমস্যার সমাধান করে।
- হজমশক্তি উন্নত করেঃ জিরা হজমশক্তি উন্নত করে, যা শরীরের পুষ্টি শোষণ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে।
- ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখেঃ জিরা ভেজানো পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়ক, যা ত্বককে কোমল ও মসৃণ রাখে।
এই পানীয়গুলো খালি পেটে পান করলে আপনি প্রচুর স্বাস্থ্যগত সুবিধা পাবেন। তবে,
সবকিছুই পরিমিত পরিমাণে এবং নিয়মিত হওয়া উচিত। আপনার যদি কোনও নির্দিষ্ট
স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, তবে কোনও নতুন পানীয় বা খাদ্যাভ্যাস শুরু করার আগে
আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
এলোভেরা আর লেবু মুখে দিলে কি হয়
ত্বকের যত্নে কতজনই না কতকিছু ব্যবহার করেন। তার মধ্যে প্রাকৃতিক এক উপাদান
হলো অ্যালোভেরা। ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এই উপাদান। ত্বকের যত্নে জাদুকরী এক
উপাদান হলো অ্যালোভেরা। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে অ্যালোভেরা। বিশেষ
করে গরমে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে অ্যালোভেরা বিশেষ উপকারী। এমনকি এটি
ত্বক ঠান্ডাও রাখে।তবে অনেকেই জানেন না, ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা ব্যবহারের
নিয়ম সম্পর্কে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক।
এলোভেরা (Aloe Vera) এবং লেবু ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত দুটি সাধারণ এবং
কার্যকরী প্রাকৃতিক উপাদান। এলোভেরা এবং লেবু একসাথে মুখে ব্যবহার করলে
বিভিন্ন ধরনের উপকার পাওয়া যায়, তবে সঠিক উপায়ে ব্যবহার করা জরুরি।
এখানে এলোভেরা ও লেবু মিশ্রণের কিছু উপকারিতা এবং সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে
বিস্তারিত দেওয়া হলো।
এলোভেরা ও লেবু মিশ্রণের উপকারিতা
এই জেল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এবং এর ভিটামিন এ, বি, সি ও এ উপাদান
ত্বকের পুষ্টি যোগায়। রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের আদ্রতা ঠিক রাখতে এটি
ব্যবহার করা হয়। ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল আর অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে
এই মাস্ক সান বার্ন হয়ে যাওয়া ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি
দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এলোভেরা (Aloe Vera) এবং লেবু (Lemon)
মিশ্রণটি ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই মিশ্রণের উপকারিতা এবং ত্বকের
বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে এটি কিভাবে সাহায্য করে, তা নিচে
বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি
- ত্বকের উজ্জ্বলতা লেবুর রসঃ এলোভেরা এবং লেবুর রস ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক অ্যাসিড ত্বকের কালো দাগ দূর করে এবং এলোভেরা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে।
- নিয়মিত ত্বক পরিচর্যাঃ প্রতিদিন নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করুন এবং মুখের উপরে লাগান যেতে পারে ক্রিম এবং মস্ক ব্যবহার করুন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুনঃ প্রতিদিন যথাযথ পরিমাণে পানি পান করা উচিত। পানি ত্বকের অতিরিক্ত ত্বক গ্লোউইং এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
- সুস্থ খাবারঃ প্রোটিন ও ভিটামিন উচ্চ খাবার সেবন করুন, যেমন মছুত, ডাল, শাকসবজি, ফল, গাজর, নারিকেল ইত্যাদি।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ নিয়মিত ব্যায়াম করা ত্বকের রক্ষা করে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
- সময়ের সাথে সাথে ত্বকের পরিচর্যা করুনঃ সূর্যালো অনুমোদন করা এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি।
- নিয়মিত পরিচর্যাঃ নিয়মিত ফেস প্যাক এবং এক্সফোলিয়েশন প্রয়োজনীয়। এটি ত্বকের অতিরিক্ত ত্বক পরিষ্কার করে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
- নিয়মিত ঘুমঃ প্রতিদিন সুনির্দিষ্ট সময় ঘুমানো দরকার। নির্ধারিত ঘুমের অভাব ত্বকের সমস্যার কারণ হতে পারে।
ব্রণের সমস্যা কমানো
- লেবুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং এলোভেরার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ ব্রণ নিরাময়ে সহায়ক। এটি ত্বকের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং প্রদাহ কমায়।
- নিয়মিত ত্বক পরিচর্যাঃ নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন মুখ ধোয়া এবং পরিষ্কার ধুতে ব্যবহার করা সাহায্য করে ব্রণ গ্রস্ত এলাকা সাফ রাখা।
- মুখের অতিরিক্ত ত্বকমূল্য নির্মাণ না করাঃ মুখে পানি বা অন্য যেকোনো ত্বকের অতিরিক্ত ত্বকমূল্য নির্মাণ না করার জন্য মুখের ত্বক পর্যাপ্তভাবে হালকা মস্তিষ্ক ব্যবহার করা উচিত।
- মুখের ত্বকের পরিষ্কারতা বজায় রাখাঃ ত্বকের পরিষ্কারতা সম্পর্কে সাবধান থাকা জরুরি। মুখের ত্বকে পরিষ্কারতা বজায় রাখা জন্য নির্দিষ্ট চরণগুলি অনুসরণ করা উচিত।
- নির্মাণকারী প্রসারক পরিহার করুনঃ প্রসারক ব্যবহার করার পর নির্মাণকারী প্রসারক সাবান বা পরিষ্কারক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।
- শুষ্কত্ব বা আস্তরণ ব্যবহার করুনঃ যেসব প্রোডাক্টে অধিক ত্বকের ত্বক শুষ্কত্ব বা আস্তরণ রয়েছে, তাদের পরিহার করুন বা ব্যবহার কমিয়ে ফেলুন।
- খাদ্য ও পানির মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর ধারণাঃ প্রচুর পরিমাণে ফল, সবজি, প্রোটিন ও পরিপুষ্টি তেল যুক্ত খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর ধারণা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের কন্ট্রোলে রাখে।
- নির্মাণকারী প্রোডাক্ট প্রতিরোধ করাঃ যখন মুখে যেকোনো প্রোডাক্টের ব্যবহার জন্য অনুমোদন দেয়া হয়, তখন এটি আগে টেস্ট করে দেখুন যে তা তোলে কোনো অসুস্থ্য প্রতিক্রিয়া না।
দাগ ও ফ্রিকেল কমানো
- লেবুর রসের দাগ কমানোঃ লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড ত্বকের কালো দাগ ও ফ্রিকেল দূর করতে সহায়ক এবং এলোভেরা ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে।
- নিয়মিত ত্বক পরিচর্যাঃ নিয়মিত পরিচর্যা ব্যবস্থাপনা এবং পরিষ্কার ত্বক রক্ষা করে। নির্দিষ্ট সাবান এবং ফেস ওয়াশ ব্যবহার করুন যা ত্বকের মধ্যে জলপাই বা ত্বকের পরিস্থিতির উপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
- সূর্যালো সুরক্ষাঃ ধূপের প্রভাবে পৃথিবীর সাথে পরিচিত হয়ে যে ধূপের প্রভাবে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এটা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে, আপনি সূর্যের বিপরীতে যান এবং সুরক্ষা হিসাবে স্লিপ পোরা বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
- উচ্চ এন্টিঅক্সিডেন্ট আহারঃ অতিরিক্ত আন্তজনিত ক্ষতিগ্রস্ত এন্টিঅক্সিডেন্ট খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আপনি ত্বকের নির্দিষ্ট অংশগুলির বৃদ্ধির ভাল প্রভাব ফেলাতে পারেন।
- ফ্রিকল প্রতিরোধঃ ত্বকের ফ্রিকল হলে, সতর্কতা সাথে সূর্যালো এবং স্লিপ পোরা বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি। এছাড়াও, নির্দিষ্ট প্রস্তুতির প্রোডাক্ট ব্যবহার করা যেতে পারে যা আপনার ত্বকের রংবর্ধক প্রভাব ফেলাতে পারে।
- সাইটোপ্লাস্মিক এক্সফোলিয়েশনঃ সাইটোপ্লাস্মিক এক্সফোলিয়েশন বা কেমিক্যাল পিলিং ব্যবহার করা যেতে পারে যা দাগ এবং ফ্রিকল সামগ্রিক দিকে ভাল প্রভাব ফেলে।
- চিকিৎসাঃ কোনো সমস্যা বা ত্বক অবস্থা নির্ধারিত করার জন্য ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
ত্বকের টোন উন্নত করা
- তোকে টোনে এলোভেরাঃ এলোভেরা এবং লেবুর মিশ্রণ ত্বকের টোন উন্নত করতে সহায়ক। এটি ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তোলে।
- নিয়মিত পরিষ্কার পরিচর্যাঃ ত্বকের টোন উন্নত করার জন্য প্রথম ধাপ হলো নিয়মিত পরিষ্কার পরিচর্যা করা। প্রতিদিন মুখ ধুয়ে শুধুমাত্র ভালো ধরনের সাবান এবং ফেস ওয়াশ ব্যবহার করুন।
- মোয়িস্টারাইজার ব্যবহারঃ ত্বকের আপনার কেমন ধরনের হলেও একটি ভালো মোয়িস্টারাইজার ব্যবহার করা উচিত। মোয়িস্টারাইজার ত্বকের পরিমাণ পরিচ্ছন্ন এবং টোনটি উন্নত করতে সাহায্য করে।
- সানস্ক্রিন ব্যবহারঃ স্যানস্ক্রিন ব্যবহার করা ত্বকের সুরক্ষা করে এবং প্রদুষণের প্রভাব থেকে রক্ষা করে যা ত্বকের টোন উন্নত করে।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াঃ প্রোটিন, ভিটামিন, এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ সঠিক হলে ত্বক স্বাস্থ্যকর হয় এবং টোন উন্নত হয়।
- নিয়মিত এক্সফোলিয়েশনঃ এক্সফোলিয়েশন পুরানো ত্বকের সেল সহজে অপসারণ করে নতুন ত্বকের প্রকাশ করে এবং টোন উন্নত করে।
- খুব জরুরী না হলে মেকআপ না করাঃ যদি সম্ভব হয় তা বাদ দেওয়া হলে মেকআপ না করা ভালো। মেকআপ ত্বকের সাথে খেলা করতে পারে এবং টোন হ্রাস করতে পারে।
- নিয়মিত ও সুস্থ ঘুমঃ নিয়মিত ও যথাযথ ঘুম পাওয়া টোন উন্নত করে।
এলোভেরা ও লেবু মিশ্রণ ব্যবহার করার পদ্ধতি
স্কিনের হাইড্রেশন লেভেল ঠিক রেখে হারানো গ্লো ফিরিয়ে আনা, সজীব ও সতেজ
রাখা, চুল পড়া রোধ করা, চুল ঘন ও লম্বা করা এসব এর জন্য যেসব কসমেটিক্স
আমরা সচরাচর ব্যবহার করি সেগুলোর একটি সাধারণ উপাদান হল অ্যালোভেরা। অনেক
ধরণের ঔষধি উপাদান থাকায় সৌন্দর্য জগতে অ্যালোভেরা দিয়ে রূপচর্চার প্রচলন ও
ব্যবহার অনেক বেশী।
এলোভেরা ও লেবুর মিশ্রণ ত্বকের যত্ন নিতে সাহায্য করতে পারে, এবং এটি
ত্বকের অতিরিক্ত ত্বকের উজ্জ্বলতা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। তবে,
যদি আপনার কোনও ত্বক সমস্যা থাকে বা আপনি অ্যালার্জিক হন, তাহলে আগে এই
মিশ্রণ ব্যবহার করার পূর্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা ভালো।
উপকরণ
- ২ টেবিল চামচ এলোভেরা জেল
- ১ টেবিল চামচ লেবুর রস
প্রস্তুত প্রণালী
- একটি পরিষ্কার পাত্রে ২ টেবিল চামচ এলোভেরা জেল নিন।
- তাতে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মেশান।
- মিশ্রণটি ভালভাবে মিশিয়ে নিন।
প্রয়োগের পদ্ধতি
- মুখ পরিষ্কার করে নিন।
- মিশ্রণটি মুখে এবং গলায় লাগান, চোখের চারপাশ এড়িয়ে চলুন।
- ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
- ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
- ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
সতর্কতা
এলোভেরা এবং লেবু মিশ্রণ ত্বকের জন্য অনেক উপকারী হতে পারে, তবে এটি
ব্যবহারের সময় কিছু সতর্কতা মেনে চলা জরুরি। এখানে এলোভেরা ও লেবুর মিশ্রণ
ব্যবহার করার সময় সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।
প্যাচ টেস্ট করুন
- লেবুতে অ্যাসিডিক এসিডঃ লেবুতে অ্যাসিডিক উপাদান রয়েছে যা কিছু ত্বকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে। প্রথমে হাতের ত্বকের ছোট অংশে প্যাচ টেস্ট করুন।
- কেন প্রয়োজনঃ লেবুর অ্যাসিডিক উপাদান এবং এলোভেরার নির্যাস কিছু ত্বকে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
- কিভাবে করবেনঃ মুখে ব্যবহার করার আগে, হাতের বা কানের পেছনে একটি ছোট অংশে মিশ্রণটি লাগিয়ে ২৪ ঘণ্টা জন্য লাগিয়ে দিন।
সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকুন
- সূর্যআলো থেকে দূরেঃ লেবুর রস ত্বককে সূর্যের আলোতে সংবেদনশীল করতে পারে। এই মিশ্রণটি ব্যবহারের পরপরই সূর্যের আলোতে যাবেন না।
- সূর্যালো থেকে দূরে থাকুনঃ লেবুর রস পরিমাণে ব্যবহার করার পরে, সূর্যের আলোর কাছাকাছি থাকা থেকে বিরত থাকুন। লেবুর রস যে ব্যবহার করা হয়েছে, তা বুক সাইডে মাঝে মাঝে অনুভব হতে পারে কিন্তু ত্বকের সাথে যোগদানের পরে যত্নশীল থাকা উচিত।
- লেবুর রস ব্যবহারের পর ত্বকের সুরক্ষা করুনঃ লেবুর রস ব্যবহারের পর, ত্বকের সাথে যোগদানের পরে ত্বকের সুরক্ষা করতে মাস্ক বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এটি আপনার ত্বককে সূর্যের আলোর ক্ষতি থেকে সুরক্ষিত রাখবে।
- লেবুর রস ব্যবহারের পর শীতল পদার্থ ব্যবহার করুনঃ লেবুর রস ব্যবহারের পর, আপনি ঠান্ডা পানি বা হালকা ফেস প্যাক ব্যবহার করে ত্বকের শীতল অনুভব করতে পারেন। এটি ত্বকের উষ্ণতা সামগ্রিকভাবে নির্মূল করতে সাহায্য করবে এবং যেকোনো সূর্যালোর প্রতি প্রতিস্থাপন করতে সাহায্য করবে।
প্রচুর লেবু ব্যবহার করবেন না
- লেবুর রস ব্যবহারঃ লেবুর অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। নির্ধারিত পরিমাণে ব্যবহার করুন।
- ত্বকের অনুসন্ধানঃ লেবুর অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারে, যা অন্যান্য ত্বক সমস্যাগুলির উপজেলে হতে পারে।
- ত্বকের অতিরিক্ত সুন্দরতাঃ লেবুর অতিরিক্ত ব্যবহারে ত্বক অতিরিক্ত সুন্দর ও চমকপ্রদ হতে পারে, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়।
- প্রতিক্রিয়ার বিপরীত ফলাফলঃ কিছু মানুষের ত্বকে লেবুর অতিরিক্ত ব্যবহারে অনিয়মিত ত্বকের প্রতি প্রতিক্রিয়া উত্পন্ন হতে পারে, যেমন চিমটি বা ত্বকের অন্যান্য রোগের প্রকোপ।
উপসংহার
এলোভেরা এবং লেবুর মিশ্রণ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কার্যকর, তবে এটি
ব্যবহার করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক আরও
উজ্জ্বল ও মসৃণ হবে। এলোভেরা ও লেবুর মিশ্রণ অত্যন্ত উপভোগ্য এবং সুস্বাদু হতে পারে, এবং এটি
শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা সরবরাহ করতে পারে, যেমন ত্বকের সুরক্ষা এবং
স্বাস্থ্যকর ত্বক। তবে, যদি আপনার কোনও ধরনের অ্যালার্জি বা অপ্রত্যাশিত
প্রতিক্রিয়ার জন্য আগে পরীক্ষা করা না হয়ে থাকে, তাহলে আগে কোনও
ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে শসা লেবুর পানীয়
লেবু উপকারী, জানালেন হার্বস আয়ুর্বেদিক স্কিন কেয়ার ক্লিনিকের
আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ। তিনি বললেন, মনে রাখতে হবে, লেবুর রস সাইট্রিক
অ্যাসিড। তাই এর ব্যবহার না জেনে যেকোনো ধরনের ত্বকে সরাসরি প্রয়োগ করা
উচিত নয়। হিতে বিপরীত হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে।
বলিরেখাও পড়তে পারে। ত্বকের ধরন বুঝে নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে ত্বক হয়ে
উঠবে সুন্দর।
তৈলাক্ত ত্বক অনেক সময় কালচে ও মলিন দেখায়। ব্রণ হওয়ার প্রবণতাও থাকে।
যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁদের জন্য এই প্যাক। গ্রেডারের সাহায্যে লেবুর
খোসার সবুজ অংশটা কুচি করে নিতে পারেন। কুচি করা খোসা বেটে নিন
(পেস্ট করুন)। ১ টেবিল চামচ লেবুর খোসার পেস্ট, ৩-৪ টি পুদিনাপাতা,
৬-৭টি তুলসীপাতা ও ২ চা-চামচ মুলতানি মাটি পেস্ট করুন (পানি ছাড়া)।
পুরোটা মুখে মেখে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার
করলে ত্বকে উজ্জ্বলতা আসবে।
শসা ও লেবুর পানীয় মিশ্রণ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক হতে
পারে। এই মিশ্রণের উপাদান হিসাবে শসা এবং লেবুর রস ব্যবহার করা হয়।
তৈরি পদ্ধতি
- একটি ছোট পাত্রে স্বচ্ছ পানি নিন।
- শসা ধুয়ে ভালোভাবে কেটে টুকরো করুন।
- একটি মিক্সারে শসা টুকরো এবং লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মিশান।
- মিশ্রণটি সিভ করে নিন যাতে কোনও মশলা বা অশুদ্ধ অংশ থাকে না।
- তৈরি মিশ্রণটি একটি গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন এবং উপভোগ করুন।
শসা ও লেবুর পানীয় মিশ্রণ ত্বকের জন্য মোষ্ট বান্ধব হতে পারে,
কারণ এই ফলদ্রব্যগুলি প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি
করতে সহায়ক হতে পারে এবং ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করতে
সাহায্য করতে পারে। তবে, এই মিশ্রণ ব্যবহারের পূর্বে সাবধানতা
অবলম্বন করা উচিত যদি কোনও ত্বক সমস্যা বা অ্যালার্জি থাকে।
তাহলে আগে কোনও ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
শসাতে রয়েছে ভিটামিন এ পর্যাপ্ত পরিমাণে এবং লেবু থেকে আমরা পাব
ভিটামিন সি। এই দুইটি ভিটামিন ই, আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে, ত্বকের যে কোন ধরনের দাগ
দূর করতে, ত্বকের নতুন কোষ তৈরিতে, এবং ত্বককে টানটান রাখতে খুব উপকারী একটি উপাদান। এছাড়া মধু
ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
তাই এই পানীয়টি নিয়মিত সকালে খালি পেটে পান করলে কয়েকদিনের মধ্যেই
আপনি আপনার ত্বকের পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন। এই পানীয়টি ফাইবার
সমৃদ্ধ হওয়ায় আপনার পরিপাকতন্ত্রের জন্য দারুন কার্যকরি হবে।
এছাড়া সারাদিন ধরে শরীরের পানির ভারসাম্য রক্ষা করবে সকালে এই
পানীয়টি পান করলে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে বিটরুট
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য আরেকটি যে গুরুত্বপূর্ণ পানীও আমরা
সকালে খালি পেটে পান করতে পারি তা হল বিটরুটের জুস। বিটরুট ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি সহ ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে, ত্বককে টানটান রাখতে
দারুণ উপকারী একটি সবজি। একটি বিটরুটের অর্ধেকটা সাথে একটি শসার
অর্ধেকটা এবং কয়েকটি পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি করতে পারেন দারুন
কার্যকরী এই পানীওটি। নিয়মিত এই পানীয়টি পান করলে কয়েকদিনের
মধ্যে আপনি আপনার ত্বকের পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন। তাই ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য এই পানীয়টি পান করেই দেখুন।
বিটরুটে ভরপুর উচ্চ পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বকের
স্বাস্থ্যকর রক্ষা করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য
করতে পারে। বিটরুটে ভরা প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, এবং
প্রতিক্রিয়াশীল কার্বোহাইড্রেট থাকে যা ত্বকের স্বাস্থ্যকর ও
উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। বিটরুট ত্বকের স্বাস্থ্যকর হার্মোন স্তর
বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের যৌথ রঙের সঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
তবে, বিটরুট প্রধানত ত্বকের স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার
জন্য মাস্কের মতো বাহ্যিক প্রয়োজন। তবে, আপনি খাবারে বিটরুট যোগ করে
আপনার ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারেন। যেমন:
- রোজানা এক কাপ বিটরুট সবোর্ণিত সব্জি মিশ্রণের সেভাবে সব্জি খান।
- স্ন্যাক হিসেবে বিটরুটের স্লাইস বা কুচি আদা সঙ্গে তাজা সব্জির ডিপিং ব্যবহার করুন।
- বিটরুট পাউডার ব্যবহার করে জুস, স্মুথি, অথবা কেকে যোগ করুন।
মনে রাখবেন, প্রতিদিনে যত্ন নেওয়া উচিত এবং সমত্বর পরামর্শের
জন্য ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের সাথে যোগাযোগ করতে ভুলবেন না।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়
উজ্জ্বল ও কমনীয় ত্বক সকলেরই কাম্য। বিশেষ করে একটু উজ্জ্বল ত্বক
পাবার জন্য আমরা অনেকেই অনেক কিছু করে থাকি। মনে মনে সবারই নিজের
ত্বকের রঙ নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ থেকেই যায়। তারই প্রেক্ষিতে আমাদের এত
প্রচেষ্টা। কিন্তু মন অনেক খারাপ হয়ে যায় তখনই যখন আয়নার সামনে
দাঁড়িয়ে একটুও ফলাফল দেখতে পাওয়া যায় না। অনেকে শেষ মেশ বাধ্য হয়ে
লেজার ট্রিটমেন্ট এর শরণাপন্ন হন একটু উজ্জলতা পাবার
আশায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য কিছু ঘরোয়া উপায়
নিম্নলিখিত হতে পারে।
- নিয়মিত ত্বক যত্নঃ সকালে ও রাতে শুধু ওপরের পরিচর্যা করা যথেষ্ট নয়। ত্বকের সঠিক যত্ন নিতে বিশেষ সময় দিতে হবে।
- উপযুক্ত পরিমাণে পানি পান করাঃ প্রতিদিন যথাযথ পরিমাণে পানি পান করা জরুরি। এটি ত্বকের নিখুঁত এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- সহিষ্ণুতাঃ পোশাকের মধ্যে কম এক্সপোজ থাকা, পর্যাপ্ত রাতার ঘুম এবং স্বস্থ খাবার খাওয়া ত্বকের স্বাস্থ্য ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- সহিষ্ণুতা বা সানস্ক্রিন ব্যবহারঃ বাসা থেকে বের হওয়ার আগে সূর্যালো অনুমোদন করার জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। এটি ত্বকের সুরক্ষা করে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
- প্রতিদিনের পরিচর্যাঃ প্রতিদিন মুখের উপরে আগার এবং হালকা ফেস স্ক্রাব ব্যবহার করা উচিত। এটি মৃদু ও মৃদুতর ত্বকের মৃদুতা উন্নত করে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
- স্বাস্থ্যকর খাবারঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য তাজা ফল, সবজি, গাজর, সবুজ শাক, ডালিয়া, কিংবা নারিকেলের তেলের খাবার প্রভাবশালী।
- নিয়মিত এক্সফোলিয়েশনঃ নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন এবং পার্লার সার্ভিস প্রাপ্ত করা ত্বকের মৃদুতা উন্নত করে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
ত্বকের যত্ন নেয়ার জন্য প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল হওয়াটাই ভালো।
এতে ত্বককে বিশেষ কোনো ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে না। তবে স্কিন
বিশেষজ্ঞদের থেকে একটু জেনে নিলে ভালো হয়। কোন ত্বকে কী ধরনের
ফেসপ্যাক ব্যবহার করা যাবে। কী কী উপাদান ব্যবহার করতে পারবেন,
আপনি আপনার ত্বকে।এই সহজ উপায়গুলি অনুসরণ করা ত্বকের উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধি করার জন্য উপকারী হতে পারে।
শেষ মন্তব্য
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য সকালে খালি পেটে এই পাঁচটি পানীয় পান
করলে পাবেন উজ্জ্বল এবং মসৃণ ত্বক, সাথে শরীরের জন্য আরো নানা ধরনের
উপকার। যা আমাদের ত্বকের উপর প্রভাব ফেলে, কারণ ভেতর থেকে শরীর যদি
প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় এবং শরীর থেকে টক্সিন পদার্থ দূর হতে পারে,
তাহলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির কাজটি সহজেই হতে পারে।
আমরা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের চেষ্টা সবসময় করে
থাকি এবং অনেক অনেক টাকা খরচ করে থাকি। অথচ হাতের কাছে থাকা এই সহজ
উপাদান গুলো দিয়ে আমরা সহজেই আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির কাজটি
শুরু করতে পারি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url