জমি ছাড়াই বাড়িতে চাষ করুন শসা হবে বাম্পার ফলন

পরিচিত ফল গুলির মধ্যে শসা সবথেকে জনপ্রিয়। বছরের সবসময় বাজারে শসা পাওয়া যায়। শশার কার্যকারিতা অনেক। ডাক্তাররা শরীরের বিভিন্ন উপকারের জন্য শসা খেতে বলেন। শরীরের জলশূন্যতা প্রতিরোধ, কিডনির পাথর, কোলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণ, ওজন হ্রাস সহ একাধিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে শসা।পরিচিত ফল গুলির মধ্যে শসা সবথেকে জনপ্রিয়।

শসা চাষ করা বাড়িতে অনেক সুখবর। এটা একটা মজার ও উপকারী কাজ। শসা চাষ করতে গিয়ে সঠিক সময়ে শসা বীজ বোনা, পানি দেওয়া, সার দেওয়া ইত্যাদির জন্য কিছু নির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যদিও জমি ছাড়াই শসা চাষ করা সম্ভব, তবে সঠিক পরিচর্যা ও সারের মান নিশ্চিত করতে হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। 

বাড়ির ছাদে শসা চাষ করার পদ্ধতি

প্রথমেই একটি সিমেন্টের বস্তা নিয়ে তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে দোআঁশ মাটি এবং গোবর সার মিশিয়ে মাটি তৈরি করে নিতে হবে। এই মাটিতে শসা খুব ভালো উৎপাদন হয়। এরপর বাজার থেকে ভালো মানের শসার বীজ কিনে এনে মাটির একটু ভিতর দিক করে বীজগুলি পুঁতে দিতে হবে। মাটিতে নিয়মিত পানি দেওয়া প্রয়োজন।
  • স্থান নির্বাচনঃ ছাদে শসা চাষের জন্য সুদৃশ্য এবং পর্যাপ্ত আলো ও আবহাওয়া প্রয়োজন। প্রথমে নিশ্চিত হতে হবে যে ছাদের ধরন শসা চাষ করার জন্য উপযুক্ত।
  • কনটেনার বা বাগে শসা চাষঃ ছাদে শসা চাষের জন্য বৃহত্তর কনটেনার বা বাগ ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ধরনের কনটেনার বা বাগ শসা চাষের জন্য উপযোগী এবং ছাদে স্থাপন করা সহজ হতে পারে।
  • বীজ প্রস্তুতঃ উচ্চ মানের হাইব্রিড বীজ নিন। বীজ প্রস্তুতির জন্য সুযোগ প্রদান করা যেতে পারে এমন একটি কনটেনার ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • মাটি প্রস্তুতিঃ প্রয়োজনে, মাটি মিশ্রণ তৈরি করতে পারেন যেন এটি সুষ্ঠু ড্রেনেজ সরবরাহ করতে সক্ষম হয়।
  • পর্যাপ্ত পরিচর্যাঃ স্থানীয় সাইক্লার বা কৃষি বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করে নির্দিষ্ট মাসের জন্য শসা চাষের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে।
  • পরিপাক ও সংরক্ষণঃ শসা প্রচুর প্রকৃতি আলো এবং সম্মান্ধিত তাপমাত্রা এবং প্রয়োজনে পানি প্রদানের জন্য পর্যাপ্ত আলো প্রয়োজন।

হাইব্রিড শসা চাষ পদ্ধতি

হাইব্রিড শসা চাষ পদ্ধতি সর্বপ্রথম হলো জাত নির্বাচন। কোন মাসে হাইব্রিড শসা চাষ করলে আমরা ভালো ফলন পাব। কোন কোন মাসে শসা চাষ করবেন তার উপরে নির্ভর জাত বেছে নিতে হবে। হাইব্রিড শসা চাষ করার সময় কিছু কমন সমস্যায় পড়তে হয় তার মধ্যে হলো পুরুষ ফুল বেশি হয় এবং তুলনা মুলক স্ত্রী ফুল খুবিই কম হয়।
হাইব্রিড শসা চাষ করার উপযুক্ত মাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। কোন মাসে হাইব্রিড শসার কোন জাতটি উপযোগী এই সকল বিষয়ে ধারণা না থাকলে হাইব্রিড শসা চাষ করতে পারবোনা। হাইব্রিড শসা চাষ একটি উচ্চ পরিপ্রেক্ষিত এবং প্রফিটযোগ্য কৃষি পদ্ধতি। নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে আপনি হাইব্রিড শসা চাষ করতে পারেন।

  • উপযুক্ত জমি পরিবেশনঃ শসা চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। শসা জন্য ধরা পড়ে যে জমি বাড়িতে অবস্থান করে সেখানে অনেক প্রদুষণ থাকতে পারে, তাই সঠিক মাটির পরীক্ষা এবং পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
  • উচ্চ মানের বীজ বোনাঃ হাইব্রিড শসা বীজ নিশ্চিত করুন যাতে প্রফিট বাড়ায়। বীজ বোনার সময়ে নিশ্চিত হোন যে সাংগঠিত, প্রাকৃতিক দুর্বলতা থাকে না।
  • প্রয়োজনীয় স্পেস ও মাঝারিঃ শসা বৃদ্ধি করতে তারা প্রয়োজন সূর্যালো, জল, এবং বিনা বাতাসের জায়গা পছন্দ করে। আপনার বাগানে যত সম্ভব তারাদের সমৃদ্ধ জল প্রদান করুন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সার প্রদান করুন।
  • প্রয়োজনীয় সার প্রদানঃ হাইব্রিড শসা চাষের সময়ে উচিত সার প্রদান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি সঠিক পরিমাপের সাথে হাইব্রিড সারের প্রয়োজন হতে পারে, যা সাধারণত কৃষি পেয়ে যায়।
  • রোগ এবং কীট নিয়ন্ত্রণঃ শসা রোগ এবং কীটের হুমকির প্রতি সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দিষ্ট প্রদত্ত পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
  • পরিষ্কার রাখাঃ প্রতিটি সময় প্রয়োজনে শসা বাগান পরিষ্কার রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ফলন বাড়াতে এবং রোগ নিয়ন্ত্রণে এটি সাহায্য করে।

শসা চাষের উপযুক্ত সময়

শসা চাষের উপযুক্ত সময় বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে, যেমন জমির অবস্থা, আবহাওয়া, সোয়াচ স্থিতি ইত্যাদি। সাধারণত শসা চাষের উপযুক্ত সময় হল গ্রীষ্মকালের প্রথম অংশ থেকে প্রভৃতি ঋতুর শেষ পর্যন্ত, অর্থাৎ মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাস।শসা বীজ বোনার সময় সাধারণত বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাসের মধ্যে হয়। বীজ বোনার পর প্রথম ৩০-৪৫ দিন পর প্রথম ফুল প্রকাশ পাওয়া যায়। আর পরে এটি প্রতিদিনের জলাশয় নিতে হয়। ফল ধরার সময় বার্ষিক ৬০-৭০ দিন লাগে।

বাংলাদেশে, শসা চাষের উপযুক্ত সময় সাধারণত বৈশাখ থেকে আষাঢ় (এপ্রিল থেকে জুলাই) মাসের মধ্যে হয়। বীজ বোনার সময় প্রথম বর্ষার পরের আগামী কালে অথবা প্রথম শীতকালে হতে পারে। এই সময়ে জমি সঠিকভাবে তৈরি করে নিতে হয়।স্থানীয় সরবরাহকারীদের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি নির্ধারিত করতে পারেন কোন সময়ে শসা চাষ করতে উপযুক্ত। 

স্থানীয় উপাদানগুলি এবং আবহাওয়ার পরিবর্তনের এটি ভিন্নভাবে পরিবর্তন করতে পারে। তবে, সাধারণত প্রায় মার্চ থেকে জুন এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এই উপযুক্ত সময় বিবেচনা করা হয়।তবে, এই সময় সীমানা আবশ্যকভাবে পরিবর্তন করে যেতে পারে স্থানীয় আবহাওয়া, সাংগঠিত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুসারে। এছাড়াও, শসা চাষের উপযুক্ত সময় নির্ধারণে সাধারণত স্থানীয় উপাদানগুলির প্রভাব এবং প্রকৃতির পরিবর্তনগুলি গণনা করা হয়।

মাটিতে শসা চাষ পদ্ধতি

মাটিতে শসা চাষ করার পদ্ধতি একটি সহজ প্রক্রিয়া, যা অনেক মাটি ও জলের মাধ্যমে করা যায়। এই পদ্ধতিতে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করা হয়।
  • মাটির নির্বাচনঃ শসা চাষের জন্য ভালো ড্রেনেজ প্রয়োজন হয়। মাটি স্বাভাবিক তাপমাত্রা ও পানিপূর্ণ হতে হবে। পাশাপাশি, সাধারণত মাটির পিএইচ লেভেল 6.0 থেকে 7.5 এর মধ্যে থাকা উচিত।
  • বীজের বাছাই ও বপনঃ বীজ চয়নে শসা বীজের গুণগত ও উত্তম মানের নিশ্চিত হওয়া উচিত। প্রথমে শসা বীজগুলি এক দিন পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। এরপর এগুলি মাটিতে বপন করা হয়। প্রতি বীজের মধ্যে দূর্বলতা থাকলে দুটি বীজ প্রতি গাছের কাজ করা হতে পারে। গাছের দৈবচয়নের ক্ষেত্রে 8-12 ইঞ্চি প্রায় দূরত্ব রাখা উচিত।
  • জলাশয় ব্যবস্থাপনাঃ শসা গাছের জন্য প্রয়োজনীয় জল প্রদানের জন্য সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। নিয়মিত স্তরে জল প্রদান করা উচিত, কিন্তু পানির স্তরটি যত্ন সাথে নির্বাচন করা উচিত, যেন বৃষ্টি অথবা বায়ুপরিষ্কার ঘটতে পারে না। পানির লাইনে সিলটের সঙ্গে যত্ন করা উচিত যাতে পানি পরিষ্কার থাকে।
  • সাংঘাতিকরণ ও রোপণঃ শসা গাছ যত্নের সাথে রোপণ করা উচিত যাতে তা সাংঘাতিকরণ না হয়। এটি অধিক ত্বরান্বিত গোড়ালি বা কোনও অন্যান্য আস্তরণ ব্যবহার করে করা যেতে পারে।
  • খাদ্য ও পোষণঃ শসা গাছের জন্য উপযুক্ত খাদ্য প্রদান করা প্রয়োজন। সাধারণত কীটনাশক উপযুক্ত খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়, যা বীজের বৃদ্ধি ও গাছের পোষণ সাহায্য করে।
  • রোগ ও কীটনাশক নিয়ন্ত্রণঃ শসা গাছ রোগ ও কীটনাশকের প্রতি আক্রান্ত হতে সহায্য করে।

মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষ

মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষ হলো একটি প্রযুক্তি যেখানে শসা গাছ মালচিং দ্বারা বৃদ্ধি পায়। এই পদ্ধতিতে শসা গাছ একটি বৃদ্ধি পূর্ণ পদ্ধতিতে তার আবদ্ধতা বা প্রতিবন্ধী ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং এটি বিভিন্ন প্রাকৃতিক পদার্থের উপকারিতা পায়। মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষ করার সহজ ধারণা নিম্নলিখিত ধাপগুলির মাধ্যমে ব্যাখ্যায়িত করা হয়।
  • মালচিং তৈরি করুনঃ মালচিং শুরু করার আগে মালচিং তৈরি করতে হবে। এটি বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানের মিশ্রণ যেমন কম্পোস্ট, বাজারের জিনিসপত্র, ছাই, ময়লা, খাই স্থানীয় বা বৃহত্তর পর্যায়ে উপলব্ধ হতে পারে।
  • মালচিং প্রস্তুত করুনঃ মালচিং একটি গভীর খাড়ায় তৈরি করা যায়, যেখানে শসা গাছ লাগানো হবে। এটি প্রায় 1 ফুট গভীরভাবে হতে পারে।
  • গাছ লাগানোঃ মালচিং তৈরি হয়ে গেলে, শসা গাছ লাগানো শুরু করা যেতে পারে। এটি শসা বীজ বা ছাদ হতে পারে। গাছগুলি প্রতি 3-4 ফুট দূরত্বে লাগানো উচিত।
  • জল প্রদান এবং যাপনঃ শসা গাছ লাগানোর পরে নিয়মিত জল প্রদান করা উচিত। এটি নিয়মিত বৃদ্ধি এবং ফলনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • রোগ এবং কীটনাশক নিয়ন্ত্রণঃ শসা গাছের জন্য জ্যাম ও নির্দিষ্ট কীটনাশকের ব্যবহার করা যেতে পারে যাতে রোগ এবং কীট নিয়ন্ত্রিত হতে পারে।
  • সম্পর্কিত যত্নঃ মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষের সময় সতর্কতা সারসংকেত। যদি কোনও বা আক্রান্ত গাছ পাওয়া যায়, তবে তা ত্বরান্বিতভাবে সরিয়ে ফেলা উচিত।

শীতকালীন শসা চাষ পদ্ধতি

শীতকালীন শসা চাষ পদ্ধতি মাটির pH প্রায় 6.0 থেকে 6.8 এ মধ্যে রাখুন , যা শসার বৃদ্ধির জন্য আদর্শ। চারা রোপনঃ মালচিং পদ্ধতিতে শীতকালীন শসা চাষ করার ক্ষেত্রে চারা রোপন সঠিক ভাবে করাটা জরুরি। যখন শীতের প্রবনতা কম থাকে অর্থাৎ অক্টোবরের শেষে দিকে বা নবেম্বর মাসে অথবা ডিসেম্বর মাসের শুরুতে আপনি চাইলে শীত কালীন শসা চাষ করতে পারেন।
  • বীজ বাছাইঃ শীতকালে শসা চাষের জন্য উচ্চ গুণগত এবং জাতীয় বীজ বাছাই করা উচিত। শসা জাতগুলির মধ্যে শীতকালে উন্নত ফলনের জন্য উচ্চমানের জাতগুলি পছন্দ করা উচিত।
  • বীজ প্রস্তুতিঃ বীজগুলি এক রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখা উচিত। এরপর বীজগুলি সাধারণত 7-10 দিনের মধ্যে অতিক্রম করতে থাকে। এরপর বীজগুলি বৃদ্ধির জন্য তৈরি করা মাটির মধ্যে বোনা হয়।
  • বোনাঃ বীজগুলি মাটিতে বোনা হয় যেন প্রতিটি গাছের মধ্যে 2-3 ফুটের অন্তরটিতে অবস্থিত থাকে। গাছের মধ্যে প্রায় 3-4 ফুটের দূরত্ব রাখা উচিত।
  • সমান্তরাল ও ভাঁজ কাটাঃ শসা গাছের সমান্তরাল ও ভাঁজ কাটা কাজে মাটি প্রায় 1-2 ফুট গভীরভাবে বাধাবেষ্টিত হয়।
  • জলাশয় ব্যবস্থাপনাঃ শসা গাছের জন্য প্রয়োজনীয় জল প্রদানের জন্য সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। নিয়মিত স্তরে জল প্রদান করা উচিত, কিন্তু পানির স্তরটি যত্ন সাথে নির্বাচন করা উচিত, যেন বৃষ্টি অথবা বায়ুপরিষ্কার ঘটতে পারে না।
  • পোষক পদার্থ প্রদানঃ শসা গাছের জন্য উপযুক্ত খাদ্য প্রদান করা প্রয়োজন। সাধারণত কীটনাশক উপযুক্ত খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়, যা বীজের বৃদ্ধি ও গাছের পোষণ সাহায্য করে।
  • রোগ ও কীটনাশক নিয়ন্ত্রণঃ শসা গাছ রোগ ও কীটনাশকের প্রতি আক্রান্ত হতে সহায়ক হতে পারে যেন গাছের প্রতিটি পাতা উচিতভাবে যাচাই করা যায়।

গ্রীষ্মকালীন শসা চাষ

বর্ষা কালে শশা চাষ পদ্ধতি - শশা একটি গ্রীষ্মকালীন চাষ। মাচায় ঝোলা শশার বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। লাউ প্রজাতির এই ফসলটি খুবই উপকারী। এখন সারা বছরই বাজারে শসা পাওয়া যায়। তাই কৃষকদের একটি বড় অংশ এ সময় ধান চাষের পাশাপাশি শশা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। মোটা আর্থিক লাভও করছেন। কৃষকদের শশা চাষের জন্য কৃষি দপ্তর থেকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে নানা সরকারি সহায়তাও।

ভালো বীজের বৈশিষ্ট্য গুলো নিম্নোরুপ- রোগমুক্ত, পরিষ্কার, পরিপুষ্ট ও চিটামুক্ত হতে হবে। সকল বীজের আকার আকৃতি একই ধরনের হবে।সাধারণ ভাবে প্রতি শতকে ১.৫ গ্রাম বীজ প্রয়োজন হয়। সাধারণত মাথা থেকে মাথার দূরত্ব ৫ ফুট আর লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব ৪-৬ ফুট হওয়া ভালো। তবে উচ্চ ফলনশীল জাতের ক্ষেত্রে বীজের প্যাকেটের গায়ে লেখা নির্দেশিকা অনুসরন করতে হবে।
  • মাটির সমৃদ্ধিঃ শসা উন্নত ফলন দেয়ার জন্য মাটির সমৃদ্ধি খুবই জরুরি। এটি অধিকতর পরিমিত পুরানো গোবর বা ওয়ার্ম কোম্পোস্টের মাধ্যমে প্রাপ্ত করা যেতে পারে।
  • বীজ নির্বাচনঃ উচ্চ গুণগতমানের শসা চাষ করতে বীজের সূক্ষ্ম নিরীক্ষণ করা জরুরি। জীবাণু, রোগ ও কীট মুক্ত এবং উন্নত ফলনের বীজ নির্বাচন করা উচিত।
  • পানি ব্যবহারঃ শসা চাষের জন্য নিয়মিত জলাশয়ের প্রয়োজন রয়েছে। এটি নির্ভর করে এলাকার জল পরিমাপ এবং আবহাওয়ার প্রতিরোধ ক্ষমতা উপর।
  • রোগ ও কীট নিয়ন্ত্রণ: রোগ ও কীট নিয়ন্ত্রণে প্রাকৃতিক উপায় এবং নির্দিষ্ট প্রস্তুতি করে সময় পাওয়া জরুরি।
  • সার ব্যবহারঃ সঠিক পরিমাণে সারের ব্যবহার শসা উন্নত ফলনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানত শসার জন্য নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশ প্রয়োজন।
  • সময়ের নিরীক্ষণঃ সময়ে সময়ে চাষাবাদ কাজের নিরীক্ষণ করা জরুরি যাতে যদি কোনও সমস্যা হয় তা স্বভাবিকভাবে সমাধান করা যায়।

টবে শসা চাষ পদ্ধতি 

ছাদ বাগানে শসা চাষ করার জন্য মাটি তৈরি করার সময় টবের নিচে কিছু পরিমাণ ইটের সুরকী দিবেন। বেলে দোআঁশ মাটিতে শসার ফলন বেশি পাওয়া যায়, তাই টবের জন্য বেলে দোআঁশ মাটি নিবেন। মাটি তৈরি করার পর টবে হাইব্রিড শসা জাতের বীজ বা চারা লাগিয়ে দিবেন। সময়মত পরিচর্যা করলে অল্প দিনের মাঝেই টবে শসার প্রচুর পরিমাণ ফলন পাওয়া যায়।

শসা চাষের জন্য মাটি তৈরির সময় টবের নিচে ২ পরিমাণ ইটের সূরকী দেবেন । এর পর মোট মাটির ২৫ ভাগ গোবর বা পাতা পচা সার ও ৭০ ভাগ দোআঁশ মাটি ও ৫ ভাগ ছাই মিশিয়ে টব বোঝাই করতে হবে। এছাড়া মাটিতে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হবে। রাসায়নিক সার গুলোর মধ্যে ইউরিয়া সার ৫০ গ্ৰাম, টিএসপি ৩০ গ্ৰাম, এমওপি সার ২০ গ্ৰাম মিশিয়ে নিন।
  • মাটি প্রস্তুতিঃ শসা চাষের জন্য মাটির পরীক্ষা করা উচিত। শসা জন্য সামান্য গরম, সাইল মাটি প্রিয়। মাটি অত্যন্ত সাইক্লোপিয়াডিয়াম সামগ্রী থেকে পুরষ্কৃত হওয়া উচিত। মাটি ধূমপান হিসেবে জমা প্রাপ্ত মাটির সাথে যোগ করা উচিত যা শসা গভীরভাবে গাছের ঠিকানা গঠন করতে সাহায্য করে।
  • বীজ নির্বাচনঃ উচ্চ গুণমানের বীজ নির্বাচন করুন। বিশেষত, স্থানীয় সারবেক্ষণ করে শসা চাষে সফল হওয়া জন্য উচিত সুপারিশকৃত জাতের বীজ নেওয়া উচিত।
  • বীজ বোনাঃ শসা বীজ বোনার জন্য উচ্চ তাপমাত্রায় মাটি প্রয়োজন হয়। প্রায় ১৮-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় শসা বীজ বোনার জন্য সময়।
  • পোকা নিয়ন্ত্রণঃ শসা চাষে পোকার নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে খামারদারদের অবগত থাকা প্রয়োজন। পোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া বা জৈব নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
  • সিরাম ও স্প্রেঃ শসা গাছে নিয়ন্ত্রণকারী সিরাম ও স্প্রের ব্যবহার করা হতে পারে। এই সাধারণত পোকার নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়।
  • আবদ্ধ পরিচর্যাঃ শসা গাছে অনুমোদিত নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। এটি প্রথমে পোকা, ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস ইত্যাদি সম্পর্কে অন্যান্য জীবনধারীর অনুমতি দেয় এবং পরিবেশ সহনশীলতা বাড়াতে পারে।

উঁচু বেড করে শসাতে কতবার পানি দিতে হয়

উঁচু বেডে শসা চাষের প্রথম ৭-১০ দিনে দৈনিক প্রায় ১ ইঞ্চি পানি প্রয়োজন হতে পারে। এরপর প্রতি ১০-১৫ দিনে পানি প্রয়োজন হতে থাকে। যেহেতু উঁচু বেড়ে প্রয়োজনীয় পানি সেথায় উপাদান পৌঁছানো সহজ না, একইসাথে মাটি সঠিকভাবে ফোঁটানো যাক তা অনুযায়ী পানির পরিমাণ নির্ধারণ করা উচিত। প্রায় ২ ইঞ্চি পানি প্রতি সপ্তাহে যথাযথ হতে পারে।

মৌসুমের শীতকালে পানির প্রয়োজনীয়তা অনুসারে সংখ্যা পরিবর্তিত হতে পারে। সহজে বুঝা যায়, প্রায় উচ্চ তাপমাত্রার সময়ে অধিক পানি প্রয়োজন হতে পারে। একটি বেডে উঁচু শসা চাষের জন্য পানি যতটুকু প্রয়োজন সেটা মাটির অবস্থা, আবহাওয়া ও গাছের আকার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

উঁচু বেডে শসাতে পানি প্রদানের প্রয়োজনীয়তা প্রধানত মাটির অবস্থা, আবহাওয়া, এবং প্রায় শসার প্রাকৃতিক উঁচুতে নির্ভর করে। তবে, সাধারণত শসা গাছে প্রতিদিন পানি প্রদান করা হয় যত যেমন এক বা দুই বার।অধিকাংশ ক্ষেত্রে, উঁচু বেডে শসাতে প্রতিদিন পানি দেওয়া প্রয়োজন হতে পারে কারণ উঁচু বেডে প্রায় জলের পরিস্থিতি ভালো থাকে না। তবে, বিশেষ অবস্থায় এটি প্রতি ২-৩ দিনে একবার পানি দেওয়া যেতে পারে।

মাটিরতে প্রতিদিন পানি প্রদানের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করতে বেডের আকার, আবহাওয়া, মাটির পরিমাণ, এবং সামগ্রিক পৌঁছানো যানবাহনের সহায়তায় পরিকল্পনা করা উচিত।

শসা গাছে কি বেশি পানি দেওয়া যায়

শসা গাছে অতিরিক্ত পানি দেওয়ার ফলে মাটির সঠিক পরিস্থিতি হারায় যেতে পারে এবং পানির জলপ্রবাহ মাটিতে স্থায়ী থাকা যেতে পারে না, যা গাছের স্বাস্থ্যকর বা বিকাশশীলতা উন্নত করতে পারে না। একটি শসা গাছ সম্পূর্ণ পোষণ এবং উঁচু গঠনের জন্য উচিত পরিমাণে পানি প্রদান করা প্রয়োজন। প্রায় ১-২ ইঞ্চি প্রতি সপ্তাহে পানি প্রদান করা উচিত হতে পারে, এবং সাধারণত প্রতিদিন পানি প্রদান করাও অনেক সময় উপযুক্ত হতে পারে।

তবে, উঁচু বেডে শসা চাষের প্রক্রিয়াতে সময়ের মাঝে মাঝে মাটির পরিস্থিতি এবং আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে মিলে শসার প্রয়োজনীয়তা পরিবর্তিত হতে পারে। তাই, গাছের স্বাস্থ্য এবং প্রকৃতির সাথে মিলিয়ে প্রতিদিনের পানি প্রদানের পরিমাণ নির্ধারণ করা উচিত হবে।

শসার পাতা হলুদ হওয়া বন্ধ করার উপায়

শসার পাতাগুলি হলুদ হয়ে যাচ্ছে তা ঠিক করতে, আপনাকে প্রায়শই কম বা বেশি পানি দিতে হবে, পরিপূরক পুষ্টি সরবরাহ করতে হবে, বা কীটপতঙ্গ বা রোগের চিকিত্সা করতে হবে । এটা কারণের উপর নির্ভর করে। গাছটি সঠিক পরিমাণে পানি এবং আলো পাচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে প্রথমে পরীক্ষা করুন, যেহেতু এটি সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা।

শসার পাতা হলুদ হওয়ার কারণ বিভিন্ন হতে পারে, যেমন পোকামাকড়, রোগ, কীটপতঙ্গ আক্রমণ, সারের অভাব, বা আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে। পাতা হলুদ হওয়া এই সমস্যাগুলির মূল কারণ বিষয়ে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত। এই সমস্যাগুলির পরিহারের জন্য নিম্নলিখিত কার্যকারিতা গ্রহণ করা যেতে পারে
  • পোকামাকড়ঃ নিয়ন্ত্রণপোকামাকড়ের আক্রমণের বিভিন্ন উপায় আছে, যেমন সাবান জালা প্রয়োগ, প্রাকৃতিক কন্ট্রোল উপায়, বা রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার।
  • রোগ নিয়ন্ত্রণঃ শসার রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য সঠিক কর্মক্ষেত্রের পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রয়োজনে রোগ নিশ্চিত করার জন্য রোগজীবাণুদম্ভের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়াগুলি গ্রহণ করা।
  • সারের পরিস্থিতি সংশোধনঃ পাতা হলুদ হওয়ার একটি উপকারী প্রয়োজনীয়তা হতে পারে যেমন নাইট্রোজেন এবং পোটাসিয়ামের অভাব সারিতে অভাব।
  • আবহাওয়ার পরিবর্তনের পর্যবেক্ষণঃ হালুদ পাতার উপস্থিতির আগে এবং পরের আবহাওয়ার পরিবর্তনের পর্যবেক্ষণ করুন এবং গাছগুলির সাথে সামঞ্জস্য বজায় রাখুন।
  • নিয়মিত পরিষ্কারবিদ্যাঃ পাতাগুলির সাথে পরিষ্কারবিদ্যা করা হলে পাতাগুলির পরিষ্কারতা বজায় থাকে এবং রোগ বা কীট প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  • পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণঃ যদি হলুদ দাগের কারণ পোকামাকড়ের আক্রমণ হয়, তাহলে পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণের উপায় অনুসন্ধান করুন।
  • রোগ নিয়ন্ত্রণঃ শসার রোগ নিয়ন্ত্রণের উপায় অনুসন্ধান করুন এবং প্রয়োজনে উপযুক্ত রোগনাশক ব্যবহার করুন।
  • সারের পরিস্থিতি সংশোধনঃ নাইট্রোজেন, ফসফেট, পোটাসিয়াম ইত্যাদি সারের অভাব পরিস্থিতি সংশোধন করুন।
  • সময়ে বারম্বার পরিষ্কারবিদ্যা করাঃ হলুদ দাগের প্রায়শই পাতার পৃষ্ঠের নিচের দিকে হয়, তাই সময়ে পরিষ্কারবিদ্যা করা উচিত।
  • আবহাওয়ার পরিবর্তনের পর্যবেক্ষণঃ পাতাগুলির প্রাকৃতিক পরিবর্তন এবং আবহাওয়ার পরিবর্তনের উপর নজর রাখুন এবং প্রয়োজনে গাছগুলি আবার সহায়ক দেন।

শশা গাছের রোগ ও প্রতিকার

শশার মোজাইক ভাইরাস (সিএমভি) দ্বারা রোগের লক্ষণ সৃষ্ট হয়, যা বিভিন্ন প্রজাতির কুমড়া,পুঁইশাক, লেটুস, ক্যাপসিকাম এবং সেলেরি এবং এর পাশাপাশি অনেকগুলি ফুল, বিশেষ করে লিলি, ডেলফিনিয়াম, প্রিমুলাস এবং ডাফেন্স ফসলে আক্রমণ করে। এই ভাইরাসটি ৬০-৮০ টি ভিন্ন প্রজাতির জাব পোকা দিয়ে বাহিত হতে পারে।

অন্যান্য উপায়ে যেমন সংক্রামিত বীজ এবং কলম, কর্মীদের হাত বা সরঞ্জামের মাধ্যমে এ রোগ ছড়াতে পারে। সিএমভি বহুবর্ষজীবী আগাছার ফুল, এবং প্রায়ই ফসলের শিকড়, বীজ বা ফুলেও সুপ্তাবস্থায় থাকতে পারে। প্রাথমিক সংক্রমণে, ভাইরাসটি নতুন চারায় নিয়মিতভাবে বৃদ্ধি পায় এবং উপরের পাতায় গিয়ে শেষ হয়।

জাব পোকা এ ফসল থেকে খেয়ে অন্য ফসলেও ভাইরাস ছড়াতে সাহায্য করে ( দ্বিতীয় বার সংক্রমণ)। এ ভাইরাস গাছের পরিবহণ কলার মাধ্যমে বাহিত হয়ে গাছের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে।শশা গাছের কিছু সাধারণ রোগের প্রতিকার নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

শসা মিল্ডিউ ইউরোপিয়া (Powdery Mildew)
  • সম্পূর্ণ আক্রান্ত পাতা সরিয়ে ফেলুন।
  • প্রতি সপ্তাহে ফাংসাইড ব্যবহার করুন।
  • স্থানীয় বা পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিটি বেডের সুষ্ঠুভাবে পরিস্কার করুন।
শসা ব্লাইট রোট (Blight Rot)
  • আক্রান্ত অংশ বাতা করে ফেলুন।
  • ফসফোরাস যুক্ত ফাংসাইড ব্যবহার করুন।
শসা লিফ স্পট (Leaf Spot)
  • সম্পূর্ণ আক্রান্ত পাতা সরিয়ে ফেলুন।
  • কপার যুক্ত ফাংসাইড ব্যবহার করুন।
শসা মোজাইক ভাইরাস (Mosaic Virus)
  • আক্রান্ত গাছের নাশক পাতা বা গাছ সরিয়ে ফেলুন।
  • প্রাকৃতিক কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে এর কার্যকরতা সংশোধন করতে হতে পারে।
শসা ডাম্পিং অফ রুট (Damping Off Rot)
  • সংশ্লিষ্ট গাছ ধূসর হলে সেই গাছগুলি সরানো যেতে পারে।
  • শসা বীজগুলি সংরক্ষণ করার সময় ভালো ড্রেনেজ সিস্টেমের সাথে সাথে সুষ্ঠু হতে হবে।
  • শসা বীজগুলি বিশেষভাবে উঁচু বেডে বোনানোর আগে অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা মোটামুটি অপক্ষযোগ্য করা হয়।
  • শসার বিভিন্ন রোগ

শসার বিভিন্ন রোগ

শসা গাছে বিভিন্ন রোগ হতে পারে, যা পাতা, ডাল, ফুল, বা ফলে আক্রমণ করতে পারে। এই রোগগুলি গাছের সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে পারে। শসা গাছের প্রধান রোগের মধ্যে নিম্নলিখিত রোগগুলি সম্মিলিত রোগগুলি রয়েছে।

শসা হল সবচেয়ে জনপ্রিয় বাগানের ফসলগুলির মধ্যে একটি, এটি সম্ভবত প্রতিটি গ্রীষ্মের কুটিরে পাওয়া যেতে পারে। যাইহোক, একটি সমৃদ্ধ ফসল অর্জনের জন্য, উদ্যানপালকদের প্রায়ই রোগ এবং পোকামাকড়ের আক্রমণের মোকাবেলা করতে হয়। আসুন তাদের বর্ণনা এবং লড়াইয়ের কৌশলগুলির সাথে পরিচিত হই।
  • পাওডারি মিল্ডিউ (Powdery Mildew): এটি বাদামি পাতার উপর হলুদ অথবা সাদা পাউডারের রূপে দেখা যায়। এই রোগে গাছের বৃদ্ধি বা উদ্ভিদ বাধাগ্রস্ত হয়।
  • ব্লাইট রোট (Blight Rot): এটি পাতার পাতে হলুদ অথবা লাল রং দেখায়। এই রোগে পাতা, ডাল, ফুল এবং ফল ধ্বংস হয়ে যায়।
  • লিফ স্পট (Leaf Spot): এটি কালো বা হলুদ রঙের ছোট ছোট দাগের মতো হতে পারে যা পাতা ও ফলে দেখা যায়।
  • ডাম্পিং অফ রুট (Damping Off Rot): এটি গাছের ডাল ধ্বংসের জন্য প্রধান রোগ। এর ফলে নাশক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের জন্য গাছ মৃত্যুর মুখোমুখি হতে পারে।
  • মোজাইক ভাইরাস (Mosaic Virus): এটি পাতা ও ফলে মোটামুটি অনসমান পাতা এবং ফলে পাতার বা পটলের মোটামুটি ধরনের দাগের মতো হতে পারে।
  • রুট রোট (Root Rot): এটি গাছের নিচের অংশে আক্রান্ত হতে পারে, যা গাছের সংক্রান্ত সমস্যার উপায়ের সাথে সম্পৃক্ত।

শসার ঢলে পড়া রোগ

"শসার ঢলে পড়া" রোগের বাংলা নাম হল "শসা ড্রপ" বা "ফ্রুট ড্রপ". এই রোগে শসার ফল অপরিপূর্ণভাবে পরিপূর্ণ হওয়ার পূর্বেই গলে যায়। ফলের গলা না থেকে বা খোলা হওয়ার আগেই পড়ে যায় এবং পরিষ্কার হওয়া অসম্পূর্ণ ফল জমা হয়। এই রোগের কারণে ফল ধ্বংস হয়ে যায় এবং এটি গাছের উন্নতি ও ফলনের প্রতিবন্ধী হতে পারে।

এই রোগের প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
  • সুস্থ গাছের চয়ন করুনঃ সুস্থ এবং প্রতিবন্ধী জাতের বীজ বা রোগ বিহীন গাছের বিচরণ করা হবে।
  • সুস্থ পরিস্কার পার্শ্বক্রমঃ সুস্থ গাছগুলির মাঝে পরিস্কার করার জন্য প্রতি বছর মাটির খাদ্য এবং বরফ মিশানো হতে পারে।
  • সুস্থ সংস্কারণ প্রযুক্তিঃ সুস্থ ফল জমা হওয়ার পর তা সঠিক সংস্কারণ প্রযুক্তির সাথে রক্ষা করা উচিত, যাতে রোগ সংক্রমণ হতে না পারে।
  • রোগ নির্ণয় এবং নিয়ন্ত্রণের পরামর্শঃ শসার রোগের নির্ণয় এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
  • প্রাকৃতিক প্রতিরোধশীলতা উন্নত করুনঃ প্রাকৃতিক প্রতিরোধশীলতা বৃদ্ধি করার জন্য শসা গাছের স্বাস্থ্যকর ও সুস্থ বিতর্কিত প্রতিরোধশীলতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার ব্যবহার করা যেতে পারে।

শেষ মন্তব্য

শসা চাষ করা একটি উপকারিতা সম্পন্ন কৃষি প্রক্রিয়া যা অনেক মানুষের জীবনের অংশ হিসাবে আছে। এটি মানুষের খাবার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে এবং অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে সাথে একটি মৌলিক অংশ হিসাবে কাজ করে। শসা চাষ করা সহজ এবং সাধারণভাবে সম্ভব, যদিও এটি উপযুক্ত যত্ন এবং সম্মান প্রয়োজন।

এই মন্তব্যটি ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, সঠিক পরিচর্যা ও যোগাযোগের সাথে শসা চাষ করা সফলভাবে করতে সাহায্য করতে পারে। আপনার চাষের প্রক্রিয়া শেষে, আপনি সুপারিশ করা যায় এই অপূর্ণ পণ্য সম্পর্কে মার্কেটে যোগ দিতে, অথবা স্থানীয় সম্প্রদায়ে বিক্রয় করতে। শসা চাষ প্রক্রিয়া একটি মৌলিক কৃষিক্রম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url