মোটা হওয়ার ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

স্থূলতা এমন এক সমস্যা যা থেকে মুক্তি পাওয়া অতি জরুরি বিষয়। বাড়তি মেদ ও ওজন কমাতে বিশেষজ্ঞরা নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু নতুন এক গবেষণায় মোটা মানুষের ১০টি দারুণ সুবিধার কথা তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞ জোনাথন ওয়েলস। এগুলো দেখে নিন।
ওজন কমানোর পড় শরীরের বিভিন্ন অংশের যেমন বাহু, পা, ঘাড়, চিবুক এবং অ্যাবসের চামড়ার নিচের বাড়তি ফ্যাট কমে যাওয়ার কারণে চামড়া ঝুলে পড়ে। যার ফলে ওজন কমানোর পড়ও শরীর তার সঠিক শেইপ ফিরে পায় না। চলুন জেনে নেই কিভাবে ঝুলে যাওয়া স্কিন টাইট করবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ

দশ দিনে মোটা হওয়ার উপায়

দশ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বৃদ্ধি করা একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে, তবে সঠিক পুষ্টি এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে এটি সম্ভব। এখানে কিছু টিপস দেওয়া হলো যা আপনাকে সাহায্য করতে পারে
  • বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করুনঃ দৈনিক ক্যালোরি গ্রহণ বৃদ্ধি করুন। সাধারণত আপনাকে আপনার বর্তমান ক্যালোরি গ্রহণের তুলনায় ৫০০-১০০০ ক্যালোরি বেশি গ্রহণ করতে হবে।
  • পুষ্টিকর খাবার খানঃ প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটযুক্ত খাবার বেছে নিন। উদাহরণস্বরূপ:
  • প্রোটিনঃ মাংস, মাছ, ডিম, ডাল, ছানা, বাদাম এবং দুগ্ধজাত পণ্য।
  • কার্বোহাইড্রেটঃ ভাত, রুটি, পাস্তা, আলু, ওটস।
  • ফ্যাটঃ অ্যাভোকাডো, বাদাম, চিয়া সিড, অলিভ অয়েল।
  • বারবার খাবার খানঃ দিনে ৩ বার বড় মিলের পরিবর্তে ৫-৬ বার ছোট ছোট মিল খান। এর মধ্যে স্ন্যাকস ও প্রোটিন শেকও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
  • প্রোটিন শেক এবং স্মুদি পান করুনঃ এগুলো দ্রুত ক্যালোরি ও পুষ্টি সরবরাহ করে। মাখন, দুধ, ফল এবং প্রোটিন পাউডার মিশিয়ে শেক বা স্মুদি তৈরি করুন।
  • ওজন তোলা ব্যায়ামঃ নিয়মিত ওজন তোলা ব্যায়াম করুন। এটি পেশি গঠন ও ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিনঃ পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম গ্রহণ করুন। ঘুম শরীরের পুনর্গঠন ও বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • জল পান করুনঃ জল শরীরের বিপাক ক্রিয়াকে সচল রাখে এবং পুষ্টির শোষণ বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়।
  • স্ট্রেস কমানঃ অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরের বিপাক ক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। যোগা, মেডিটেশন বা অন্যান্য শিথিলায়ন কৌশল অবলম্বন করুন।
নিয়মিত ওজন ও স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করুন এবং প্রয়োজনে একজন পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করুন। দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য অস্বাস্থ্যকর পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত নয়, এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

স্থায়ী ভাবে মোটা হওয়ার ঔষধ

ওজন বৃদ্ধি এবং তা স্থায়ীভাবে ধরে রাখার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ঔষধ নেই যা স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপদ হিসাবে নিশ্চিত করা যায়। ওজন বৃদ্ধি করার জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক এবং খাদ্যাভ্যাস সংশোধনমূলক পদ্ধতিগুলোই সবচেয়ে ভালো। তবুও, কিছু পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শে বিশেষ কিছু ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে এদের ব্যবহার সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

যেসব ঔষধ ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে সেগুলো সাধারণত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ব্যবহার করা হয়। কিছু উদাহরণ হলো।
  • মাল্টিভিটামিন এবং মিনারেল সাপ্লিমেন্টসঃ পুষ্টির অভাব পূরণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • মেগেসট্রল এসেটেটঃ এটি সাধারণত ক্যান্সার বা এইচআইভি/এইডস রোগীদের জন্য ব্যবহৃত হয় যারা গুরুতর ওজন কমাতে পারেন।
  • ড্রোনাবিনলঃ এটি একটি ক্যানাবিনয়েড যা ক্ষুধা বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • স্টেরয়েডঃ কিছু ক্ষেত্রে, চিকিৎসকরা স্টেরয়েড প্রয়োগ করতে পারেন, তবে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন।
তবে এসব ঔষধ প্রায়ই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসহ আসে এবং শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শে এবং তত্ত্বাবধানে নেওয়া উচিত। ঔষধের পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপায়ে স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বৃদ্ধি করার জন্য নিম্নোক্ত পরামর্শগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে।
  • খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনঃ উচ্চ ক্যালোরি এবং পুষ্টিকর খাবার বেছে নেওয়া।
  • বেশি প্রোটিন গ্রহণঃ প্রোটিন মাংসপেশি গঠনে সাহায্য করে যা ওজন বাড়ায়।
  • নিয়মিত ওজন তোলার ব্যায়ামঃ এটি পেশি গঠন করে ও ওজন বৃদ্ধি করে।
  • বেশি ঘুম এবং বিশ্রামঃ পর্যাপ্ত বিশ্রাম শরীরের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  • স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টঃ কম মানসিক চাপ শরীরের পুষ্টি শোষণে সহায়ক।
ওজন বৃদ্ধি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া এবং ধৈর্য ধরতে হবে। দ্রুত ফলাফল পাওয়ার আশায় ক্ষতিকর ঔষধ বা পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত নয়। আপনার স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় খুঁজে পেতে একজন পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়

সকালে খালি পেটে পুষ্টিকর এবং উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করে ওজন বৃদ্ধি সম্ভব। এখানে কয়েকটি খাবারের পরামর্শ দেওয়া হলো যা সকালের নাস্তার জন্য উপযুক্ত এবং ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়ক হতে পারে।
  • কলার স্মুদিঃ কলা উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। দুধ, বাদাম এবং মধু মিশিয়ে একটি স্মুদি তৈরি করুন। এটি খালি পেটে পান করলে ওজন বৃদ্ধি সহায়ক হতে পারে।
  • ওটমিলঃ দুধ দিয়ে তৈরি ওটমিলের মধ্যে বাদাম, চিয়া সিড, মধু এবং ফল মিশিয়ে খান। এটি প্রচুর পুষ্টি এবং ক্যালোরি প্রদান করবে।
  • পীনাট বাটার টোস্টঃ পুরো গমের রুটির উপর পীনাট বাটার মাখিয়ে খান। এটি প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সরবরাহ করবে।
  • ডিমঃ ডিম উচ্চ প্রোটিন এবং ক্যালোরিযুক্ত। খালি পেটে সিদ্ধ বা ভাজা ডিম খেলে ওজন বাড়াতে সহায়ক হবে।
  • দুধ এবং ড্রাই ফ্রুটসঃ এক গ্লাস পূর্ণ চর্বিযুক্ত দুধের সঙ্গে বাদাম, কাজু, কিশমিশ ইত্যাদি মিশিয়ে খান। এটি ক্যালোরি এবং পুষ্টির জন্য উপযুক্ত।
  • এভোকাডো টোস্টঃ এভোকাডো স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ক্যালোরির চমৎকার উৎস। এটি টোস্টের উপর ম্যাশ করে খান।
  • গ্রিক ইয়োগার্টঃ গ্রিক ইয়োগার্টে মধু এবং বাদাম মিশিয়ে খান। এটি উচ্চ প্রোটিন এবং ক্যালোরিযুক্ত।

স্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধির জন্য কিছু টিপস

  • নিয়মিত খাওয়াঃ দিনে ৫-৬ বার ছোট ছোট খাবার খান।
  • প্রচুর জল পান করুনঃ জল শোষণ ও বিপাক ক্রিয়াকে সচল রাখতে সহায়ক।
  • প্রোটিন শেক এবং স্মুদিঃ এগুলো দ্রুত ক্যালোরি ও পুষ্টি সরবরাহ করে।
  • নিয়মিত ব্যায়ামঃ বিশেষত ওজন তোলার ব্যায়াম পেশি গঠনে সাহায্য করে।
এগুলি স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বৃদ্ধির জন্য সহায়ক হতে পারে। যদি আপনি দ্রুত এবং স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বাড়াতে চান, তবে পুষ্টিবিদের পরামর্শ গ্রহণ করা শ্রেয়।

কাঁচা ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায়

কাঁচা ছোলা খেলে ওজন বৃদ্ধি করা সম্ভব, তবে কাঁচা ছোলার পরিবর্তে ভিজানো বা সেদ্ধ ছোলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য আরও উপকারী হতে পারে। ছোলা উচ্চ প্রোটিন, ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের একটি চমৎকার উৎস, যা ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়ক। এখানে কিছু উপায় রয়েছে যেগুলি ছোলা খাওয়ার মাধ্যমে স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বৃদ্ধি করতে পারেন

ছোলা খাওয়ার উপায় এবং উপকারিতা

ছোলার গুণাগুণ কারুরই অজানা নয়। উচ্চ মাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ছোলা। এতে ভিটামিন, ফাইবার, প্রোটিন – তিনটিই থাকে। ছোলাতে ফ্যাটের পরিমাণ খুব কম। তাই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বেশ উপকারি এটি। এছাড়াও, কাঁচা ছোলা ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে। কাঁচা ছোলা কিছু স্বাস্থ্যগুণের কথা তুলে ধরা হয়েছে লাইফস্টাইল বিষয়ক এক ওয়েবসাইট।

ভিজানো ছোলা
  • রাত্রে ছোলা ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খান। এটি হজমে সহায়ক এবং পুষ্টি শোষণে কার্যকর।
  • ভিজানো ছোলার সাথে মধু মিশিয়ে খেলে অতিরিক্ত ক্যালোরি পাওয়া যায়।
সেদ্ধ ছোলা
  • সেদ্ধ ছোলায় লেবু, পেঁয়াজ, টমেটো এবং কিছু মশলা মিশিয়ে সালাদ তৈরি করুন। এটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর হবে।
  • সেদ্ধ ছোলার সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে খেলে অতিরিক্ত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট পাওয়া যায়।
ছোলার স্মুদি
  • ছোলা, দুধ, কলা, এবং বাদাম মিশিয়ে স্মুদি তৈরি করুন। এটি উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত এবং পুষ্টিকর।

ছোলা খাওয়ার উপকারিতা

ছোলা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে, কারণ এটি প্রোটিন, ফাইবার এবং বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলের একটি চমৎকার উৎস। ছোলা নিয়মিত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্নভাবে উপকারী হতে পারে। নিচে ছোলা খাওয়ার কিছু প্রধান উপকারিতা তুলে ধরা হলো।
  • ফাইবারঃ ছোলায় প্রচুর ফাইবার থাকে, যা হজমে সহায়ক এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য তৃপ্তি দেয়, ফলে ক্ষুধা কম লাগে।
  • ভিটামিন এবং মিনারেলঃ ছোলায় ভিটামিন বি, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, এবং পটাশিয়াম সহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান থাকে যা শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে।
কিছু অতিরিক্ত পরামর্শ
  • প্রতিদিন নিয়মিত খাওয়াঃ ওজন বাড়াতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ ছোলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  • অন্য পুষ্টিকর খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াঃ ছোলা বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদানের সাথে মিশিয়ে খেলে আরও বেশি ক্যালোরি এবং পুষ্টি পাওয়া যায়।
  • ব্যায়ামঃ নিয়মিত ব্যায়াম, বিশেষ করে ওজন তোলার ব্যায়াম, পেশি গঠনে সহায়ক এবং ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়ক।

উদাহরণ স্বরূপ একটি ছোলার সালাদ রেসিপি

ছোলার সালাদ একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার যা সহজে তৈরি করা যায়। এখানে একটি ছোলার সালাদের রেসিপি দেওয়া হলো।

উপকরণ
  • ১ কাপ সেদ্ধ ছোলা
  • ১টি ছোট পেঁয়াজ, কুচি করে কাটা
  • ১টি টমেটো, কুচি করে কাটা
  • ১টি শসা, কুচি করে কাটা
  • ১টি গাজর, কুচি করে কাটা (ঐচ্ছিক)
  • ১টি ক্যাপসিকাম (বেল পেপার), কুচি করে কাটা (ঐচ্ছিক)
  • লেবুর রস (স্বাদমতো)
  • লবণ (স্বাদমতো)
  • গোলমরিচ গুঁড়ো (স্বাদমতো)
  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল বা সরিষার তেল
  • কিছু ধনেপাতা বা পুদিনাপাতা, কুচি করে কাটা
প্রণালী
  • সেদ্ধ ছোলা একটি বড় বাটিতে নিন।
  • পেঁয়াজ, টমেটো, শসা, এবং ধনেপাতা যোগ করুন।
  • লেবুর রস, লবণ, গোলমরিচ এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে দিন।
  • ভালোভাবে মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
  • এই সালাদটি পুষ্টিকর এবং উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত, যা ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়ক।
এভাবে ছোলা খাওয়া ওজন বাড়ানোর জন্য একটি স্বাস্থ্যকর এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতি হতে পারে। তবুও, যদি আপনার বিশেষ স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া মোটা হওয়ার ওষুধ

ওজন বাড়ানোর জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর উপায়ে মোটা হওয়া সবচেয়ে ভালো। ওজন বাড়ানোর জন্য কোনও ওষুধ সেবনের আগে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে, কিছু ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট আছে যা ওজন বাড়াতে সহায়ক হতে পারে এবং সাধারণত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই নিরাপদ বলে মনে করা হয়। এখানে কয়েকটি ওজন বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত সাপ্লিমেন্টের উল্লেখ করা হলো।

প্রোটিন পাউডার
  • উপকারিতাঃ প্রোটিন পাউডার শরীরের প্রোটিন চাহিদা পূরণে সহায়ক এবং পেশি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
  • ব্যবহার প্রোটিন পাউডার দুধ বা পানির সাথে মিশিয়ে স্মুদি বা শেক তৈরি করে খাওয়া যায়।
ওজন বৃদ্ধির শেক
  • উপকারিতাঃ ওজন বৃদ্ধির শেক ক্যালোরি এবং পুষ্টির ঘাটতি পূরণে সহায়ক। এতে উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত এবং প্রোটিনসমৃদ্ধ উপাদান থাকে।
  • ব্যবহারঃ প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে এই শেক খাওয়া যেতে পারে।
ক্রিয়েটিন
  • উপকারিতাঃ ক্রিয়েটিন সাপ্লিমেন্ট পেশি বৃদ্ধিতে সহায়ক এবং শরীরে শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  • ব্যবহারঃ ব্যায়ামের আগে বা পরে ক্রিয়েটিন সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে।
ব্রাঞ্চ চেইন অ্যামিনো অ্যাসিডস (BCAAs)
  • উপকারিতাঃ BCAAs পেশি পুনরুদ্ধারে সহায়ক এবং ব্যায়ামের পরে পেশি ক্ষয় কমাতে সাহায্য করে।
  • ব্যবহারঃ ব্যায়ামের আগে বা পরে BCAAs সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে।
ফিশ অয়েল
  • উপকারিতাঃ ফিশ অয়েল ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং ওজন বাড়াতে সহায়ক।
  • ব্যবহারঃ প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাত্রায় ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে।
মাল্টিভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্ট
  • উপকারিতাঃ মাল্টিভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্ট শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণে সহায়ক।
  • ব্যবহারঃ প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাত্রায় মাল্টিভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কিছু উপায়
  • প্রচুর ক্যালোরি গ্রহণঃ ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার, যেমন বাদাম, চিজ, দুধ, মাংস এবং ফলমূল বেশি করে খাওয়া।
  • বারবার ছোট ছোট খাবারঃ দিনে ৫-৬ বার ছোট ছোট খাবার খাওয়া।
  • প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারঃ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন ডাল, মুরগির মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি খাওয়া।
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট: অলিভ অয়েল, নারকেল তেল, বাদাম তেল ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট গ্রহণ করা।
ওজন বাড়ানোর জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা গুরুত্বপূর্ণ। কোনও ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

বিয়ের পর মেয়েরা মোটা হয় কেন

বিয়ের পর অনেক মেয়েরা মোটা হয়ে যেতে পারে বিভিন্ন কারণের জন্য। এখানে কয়েকটি সাধারণ কারণ উল্লেখ করা হলো।

জীবনযাত্রার পরিবর্তন
  • বিয়ের পর জীবনে পরিবর্তনঃ বিয়ের পর জীবনযাত্রার পরিবর্তন ঘটে, যা খাদ্যাভ্যাস ও দৈনন্দিন রুটিনে প্রভাব ফেলতে পারে।
  • ব্যস্ততাঃ বিয়ের পর অনেকেই নতুন দায়িত্ব নিতে হয়, যার ফলে ব্যায়াম করার সময় কমে যেতে পারে।
খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন
  • নতুন খাদ্যাভ্যাসঃ অনেক সময় বিয়ের পর নতুন পরিবারের খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করতে হয়, যা আগের খাদ্যাভ্যাস থেকে ভিন্ন হতে পারে।
  • আনন্দ উদযাপনঃ বিয়ের পর বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান এবং পারিবারিক মেলামেশা বেশি হয়, যেখানে অনেক খাবার খাওয়া হয়।
মানসিক পরিবর্তন
  • মানসিক চাপঃ নতুন সম্পর্ক এবং নতুন দায়িত্ব নিয়ে মানসিক চাপ বেড়ে যেতে পারে, যা ওজন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
  • আনন্দ এবং স্বস্তিঃ অনেকেই বিয়ের পর নিজেদের আরও স্বস্তিতে বোধ করেন এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা থাকে।
হরমোনাল পরিবর্তন
  • হরমোনাল ভারসাম্যহীনতাঃ হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। বিশেষ করে পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS) এবং থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে।
অলসতা ও ব্যায়ামের অভাব
  • বিয়ের পর অলসতাঃ বিয়ের পর অনেকেই ব্যায়াম কমিয়ে দেন বা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেন, যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
  • বিয়ের পর ব্যস্ততাঃ নতুন পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে নিতে গিয়ে অনেকেই ব্যায়ামের সময় পান না।
বাচ্চা নেওয়ার পরিকল্পনা
  • গর্ভাবস্থা এবং সন্তান ধারণ: গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধি হয়, এবং সন্তান জন্মের পর অনেকের জন্য ওজন কমানো কঠিন হয়ে যায়।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
  • সঠিক খাদ্যাভ্যাসঃ স্বাস্থ্যকর এবং পরিমিত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করা।
  • নিয়মিত ব্যায়ামঃ প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করা, যেমন হাঁটা, যোগব্যায়াম বা জিমে যাওয়া।
  • পর্যাপ্ত ঘুমঃ পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা, কারণ ঘুমের অভাব ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
  • মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষাঃ মানসিক চাপ কমানোর জন্য ধ্যান, যোগব্যায়াম বা প্রয়োজনীয় সাপোর্ট সিস্টেম তৈরি করা।
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষাঃ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো এবং কোন হরমোনাল সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। যদি ওজন বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন হন, তবে একজন পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কি খেলে মোটা হওয়া যায় তাড়াতাড়ি

আমাদের মধ্যে অনেকে যেমন অতিরিক্ত ওজনের হন, তেমনই এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁদের ওজন প্রয়োজনের তুলনায় কম। দুটোই সুস্থ থাকার জন্য সমস্যা। উচ্চতা অনুসারে ওজনের যে সঠিক নির্দেশনা রয়েছে, এর কমবেশি হলে স্বাভাবিক জীবনযাপনে অসুবিধা হতে পারে। সাধারণত একজন পরিণত মানুষের ওজন যদি স্বাভাবিকের থেকে কম হয়, তাহলে কিন্তু এই ‘আন্ডারওয়েট’ সমস্যায় ভুগতে হয়।
আন্ডারওয়েট হলে তাঁর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা একেবারেই কমে যায়। কম ওজনের অনেকেই আমাকে বলেন, পছন্দসই জামাকাপড় পরার পর নিজেকে দেখে মনে হয় সেগুলো হ্যাঙ্গারে ঝুলছে। এ ছাড়া নানা কটুকথাও শুনতে হয় কম ওজনের কারণে। সব মিলে জীবনে চলে আসে হতাশা। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে ওজন বাড়ানোর জন্য কিছু খাবার নিয়মিত খেতে পারেন। এতে ওজন বাড়তে সাহায্য করবে।

শুকনো ফলমূল

শুকনো ফলমূল (ড্রাই ফ্রুটস) ওজন বাড়ানোর জন্য আদর্শ খাবার। এগুলোতে ক্যালরির মাত্রা বেশি থাকে। তাই শুকনো কাজুবাদাম, কিশমিশ, খেজুর বা আমণ্ড খেলে আপনার মোটা হওয়ার ইচ্ছা খুব তাড়াতাড়ি পূর্ণ হবে। নিয়মিত সকালে নাশতার সময় ১০-১২টি আমণ্ড বা কাজু, কিশমিশ বা খেজুর খাওয়া শুরু করুন। তবে এগুলো খাওয়ার আগে রাতে আধা কাপ পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খাওয়া ভালো। যদি দিনে কমপক্ষে তিনবার খাওয়া যায়, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ওজন বাড়বে। তবে এই শুকনো ফলও খেতে হবে পরিমাণমতো।

পিনাট বাটার

পিনাট বাটার উচ্চ ক্যালরিযুক্ত একটি খাবার। তাই প্রতিদিন একবার করে পাউরুটির সঙ্গে অথবা বিস্কুটে খানিকটা পিনাট বাটার মেখে খেয়ে ফেলুন। এতে কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি ওজন বাড়ে। অনেকে কোনো খাবারের সঙ্গে না মিশিয়ে শুধু পিনাট বাটার খেতেও ভালোবাসেন।

সহজলভ্য আলু

কার্বোহাইড্রেট ও কমপ্লেক্স সুগারে পরিপূর্ণ একটি খাবার আলু। তাই এই উপাদান আপনাকে খুব ভালোভাবে সাহায্য করবে ওজন বাড়াতে। প্রতিদিন দুবার করে খাবার পাতে সেদ্ধ আলু খান। এ ছাড়া আলুর তৈরি চিপস জলপাই তেলে ভেজে সংরক্ষণ করে রেখেও খেতে পারেন। দুই মাস নিয়মিত আলু খেলেই নিজের ওজনের পার্থক্য আপনার চোখে ধরা দেবে।

ডিম

ওজন বাড়ানোর জন্য ডিমের ওপর সহজেই আস্থা রাখতে পারেন। এতে থাকা চর্বি, প্রোটিন ও গুড ক্যালরি আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ওজন বাড়াতে চাইলে নিয়মিত ডিম খাওয়া শুরু করুন। প্রতিদিন তিন-চারটি ডিমের সাদা অংশ খান, দ্রুত ওজন ফিরে পাবেন। তবে কোনোভাবেই কাঁচা ডিম খাবেন না। সেদ্ধ করা ডিমের সাদা অংশ খাওয়া উচিত। নিয়মিত ডিম খেলে দুই মাসের মধ্যেই আপনার ওজন বেড়ে যাবে।

হরেক রকম সবজি

পরোটার সঙ্গে প্রতিদিন কলিজা ভুনা না খেয়ে মাঝেমধ্যে সবজি খান। সবজির মধ্যে আলু, গাজর, শিম ইত্যাদি ওজন বাড়ানোর জন্য ভালো। এ ছাড়া ডালও ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। 

তাজা ফলমূল

সকালের নাশতায় ফলমূল রাখতে পারেন। ফলের মধ্যে মিষ্টিজাতীয় ফল যেমন আপেল, আঙুর, কলা, নাশপাতি ইত্যাদি ওজন বাড়ানোর জন্য ভালো।

এই খাবারগুলো নিয়মিত খেতে থাকুন, ওজনের সমস্যা মিটে যাবে সহজেই। তবে ওজন বাড়াতে গিয়ে আবার অতিরিক্ত করে ফেলা কোনো কাজের কথা নয়। তাই কাঙ্ক্ষিত ওজন বাড়ার পর সেটা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। তাহলেই সুস্থ থাকতে পারবেন।

চুলের গোড়া শক্ত ও মোটা করার উপায়

চুলের গোড়া শক্ত ও মোটা করার উপায় কিছুটা দেখার দিক থেকে নাস্তিক্রিয়ার নিয়মে নির্ভর করে, তবে কিছু সাধারণ পদক্ষেপ নিয়ে মোটা করা সম্ভব।
  • প্রতিদিন নিয়মিত চুল যত্ন নেওয়াঃ স্বাভাবিক চুলের দেখভাল সহজ ভাবে আপনার চুল মোটা করতে সাহায্য করে। নিয়মিত শাম্পু করা, অতিরিক্ত চুল স্টাইলিং পণ্য ব্যবহার এবং প্রতিদিন চুল শোয়া করা এই সব চুল স্বাস্থ্যের সাথে সাথে সম্পর্কিত।
  • ভালো খাবার গ্রহণ করাঃ আপনার খাবারের পরিমাণ এবং মান উভয়েই আপনার চুলের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল, সবজি, প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের উপযুক্ত খাবার গ্রহণ করা চুল এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • শারীরিক ব্যায়ামঃ নিয়মিত ব্যায়াম করা চুল এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়াম করার সময় প্রচুর পরিমাণে পরিস্কার পানি গ্রহণ করা চুলের স্বাস্থ্য এবং চুলের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে মাধ্যমে মোটা করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও, শারীরিক স্বাস্থ্যের প্রতিটি বিপক্ষের সাথে নিরাপদ থাকতে সহায়ক হতে হলে কোনও পরামর্শকের সাথে পরামর্শ করা উচিত। সঠিক পরামর্শের সাথে, আপনি নিজের প্রকৃতির সাথে মোটা হওয়ার উপায় ও সাহায্য করতে পারেন।

শেষ মন্তব্য

অভিনন্দন! মোটা হওয়ার জন্য সঠিক পথে এগিয়ে যেতে পেরে আপনার উদ্যোগের জন্য অভিনন্দন। এখন আপনি সঠিক পরিমাণে ও স্বাস্থ্যকর উপায়ে মোটা হওয়ার পথে অগ্রসর হয়েছেন। মোটা হওয়া একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া, এবং এটি সঠিক পরিমাণে প্রতিদিনের প্রচেষ্টা এবং ধৈর্য চাইতে পারে। ধরণ ধরণের ভালো খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম, সঠিক পরিমাণে পরিমাণে পরিস্কার পানি গ্রহণ এবং শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে সাথে প্রগতি করা আপনাকে আরও ভালো এবং স্বাস্থ্যকর জীবনে নিয়ে যাবে।

আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা মোটা হওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং চুলের গোড়া শক্ত মোটা করার উপায় এই সকল সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। আজকের এই পোস্টি পড়ার পর আসা করি মোটা হওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং চুলের গোড়া শক্ত মোটা করার উপায় না জানা আর কিছু থাকতে পারে না। কেননা আমি চুলের গোড়া শক্ত করার উপায় সম্পর্কে সকল বিষয় বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি এবং আপনাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ঔষধ সম্পর্কে অনেক তথ্য দিয়েছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url