আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আম আমাদের সকলের সবচেয়ে প্রিয় একটি ফল আম পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে আমি প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি আছে। মানুষ যেমন আম খেতে ভালোবাসে ঠিক তেমনি আম খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা আছে। পাকা আম কাঁচা আম দুই অবস্থাতে আম খাওয়া যায়।



চলুন আজ আমরা দেখব আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, আম খাওয়ার উপকারিতা, কাঁচা আমের উপকারিতা, আম এর উপকারিতা, আম খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও আম খাওয়ার নিয়ম।

পোস্ট সূচিপত্রঃ

আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আম ভালবাসেনা এমন মানুষ খুঁজলে খুব কম মানুষই পাওয়া যাবে। আম আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি। ভিটামিন সি কোলাজেন প্রোটিন তৈরি করে যা আমাদের ত্বকের সুস্থ রাখে। কোলাজেন প্রোটিন আমাদের ত্বকের বলিরেখা ও ব্রণের সমস্যা দূর করে। তাছাড়া আম চুলের সমস্যা দূর করে।

আম খাওয়ার উপকারিতা

চলে এসেছে মধুরমাস। আম রূপালী, হিমসাগর, নেংরা, রানী পচন, পছন্দসহ আরো কত রকমের আমের। চাইলে খেতে পারেন মজাদার আমগুলো। আম খাওয়ার উপকারিতাও অনেক। আম খাওয়ার উপকারিতা গুলো নিচে দেওয়া হল

  • পাকা আম খেলে ত্বকের সুন্দর মসৃণ হয়। এটি আমাদের ত্বকের ভেতর ও বাইরে থেকে উজ্জ্বল করে। আম ত্বকের লোমের গোড়া পরিস্কার করে ও ব্রণের সমস্যার সমাধান করে।
  • আম লোভের গোড়া থেকে পরিষ্কার করে যার ফলে মুখে ও নাকের ব্ল্যাকহেড দূর করে। এছাড়া প্রতিদিন ১০০ গ্রাম পাকা আম খেলে মুখে কালো দাগ দূর হবে।
  • আমি থাকা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আমাদের শরীরের স্নায়ুকোষে অক্সিজেনের সরবরাহ সচল ও শরীরকে সতেজ রাখে। যার ফলে আম খেলে আমাদের খুব দ্রুত ঘুম আসে।
  • ভিটামিন এ আমাদের চোখের জন্য খুব উপকারী। আর আমে রয়েছে ভিটামিন এ। আপনি যদি প্রতিদিন এই কাপ আম খান তাহলে আপনার শরীরে ২৫% ভিটামিন এর চাহিদা মিটাবে। ভিটামিন এ চোখে দৃষ্টি শক্তি বাড়ায় ও রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করে।
  • পাকা আমে থাকা টারটারিক এসিড, ম্যালিক এসিড, ও সাইট্রিক এসিড, আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
  • আমে থাকা ফাইভার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে কোলন ক্যান্সারের মতো রোগ থেকে দূরে রাখবে।
  • স্বাস্থ্যধারে রাখতে হজম সুস্থ থাকা জরুরি।আমে থাকা ইনজাইম গুলো প্রোটিন উপাদান সহজে ভেঙ্গে ফেলতে পারে। এতে খাবার হজম হয় দ্রুত, বাঁচা যায় পাকস্থলী সংক্রান্ত অনেক রোগ থেকেও।
  • এই গরমে হিট স্ট্রোক সাধারণ ঘটনা। আমাদের ভেতরটা শীতল রাখে ও শরীরে অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচায়।

কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

গরমের দাবিদার স্বস্তি দিতে পারে কাঁচা আমপোড়া শরবত, কিংবা বাঙালি শেষ পতে চাটনিও হয় এই আম দিয়ে। আম দিয়ে ডাল, আমের শরবত, আমের পান্না, আচার, বাঙালি রসনায় সর্বত্র হিট কাঁচা আম। তবে জানেন কি কাঁচা আম কেবল রসনা মিটায় না। গরমের তাপমাত্রা সাহায্য করে কাঁচা আম। বিশেষজ্ঞদের মতে কাঁচা আমের রস পটাশিয়াম থাকা গরমের শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

গ্রীষ্মকালীন ফল আম বৈশাখ মাসে প্রতিটি বাজারে সভা বৃদ্ধি করতে থাকে।আম খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তীব্র গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই কাঁচা আমের শরবত পান করে অনেকে। আবার কাঁচা আম লবণ মাখিয়ে খেতে পছন্দ করে শুধু তাই নয় বিভিন্ন তরকারি ডাল কিংবা চাটনিতে নিচে খাওয়া হয়। কিন্তু কাঁচা আম শুধু স্বাদেই সাথে ভালো নয়, স্বাস্থ্যে ভালো রাখতে অবদান রাখে।

শুধু তাই নয় কাঁচা আম খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে অবদান রাখে। কাঁচা আমের খুব কম ক্যালোরি থাকায় ওজন কমাতে সাহায্য করে এতে ফ্যাট কোলেস্টেরল চিনিও কম থাকে সুতরাং যারা ওজন কমাতে চান তারা ডায়েট রাখতেই পারেন কাঁচা আম দিয়ে। কাঁচা আমের ভিটামিন এ থাকা চোখ ও ভালো রাখে। চোখে স্বাস্থ্য রক্ষা ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চোখের রেটিনা ভালো রাখতে এই দুইটি অ্যান্টির অক্সিডেন্ট খুবই উপযোগী।

ওজন কমাতে সাহায্য করে কাঁচা আমঃ ওজন কমাতে চেষ্টা করছে এমন যে কারো জন্য উপকারী একটি ফল হতে পারে কাঁচা আম  পাকা আমের চেয়ে ক্যালরি অনেক কম থাকে। যে কারণে ওজন কমানোর সহজ হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেছে খাবার হজমে সাহায্য করে কাঁচা। এটি অন্ত্রকে পরিষ্কার করে এবং মুক্তি দেয়। এসিডিটি কোষ্ঠকাঠিন্য, ও বদ হজমের সমস্যা দূর করতেও কার্যকরী কাঁচা আম। এই আমের থেকে গ্যালিক এসিড যা হজম প্রক্রিয়া সহজ করে। এটি খাদ্যনালীতে বিভিন্ন পচক এর উৎসেচকের ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে।

পাকা আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আর কিছুদিন থেকে শুরু হবে পাকা আম পাড়া। মুখরোচক ফলের মধ্যে অন্যতম ফল আম। কাঁচা কিংবা পাকা আম প্রেমিকদের কাছে আম মানে প্রিয় একটি ফল। পাকা আমের জন্য পুরো বছর জুড়ে অপেক্ষার অবসান ঘটে এ মৌসুমে। সকাল বিকাল নাস্তা কিংবা দুপুরে ভাতের সাথে একটি পাকা আম না হলে যেন খাওয়ায় পূর্ণতা আসে না।

পাকা আমের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ লবণ, আশ ইত্যাদি আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারী। পাকা আমের ক্যারোটিনের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। পাকা আমের আয়রন, ফসফরাস, ভিটামিন সি, এবং থাকে। এ ছাড়াও রয়েছে বি- ১ ও বি- ২। পাকা আমের আরো থাকে খনিজ লবণ, প্রোটিন, ও ফ্যাট সেতু। ভালো উৎস হলো পাকা আম। পাকা আমের আরো থাকে খনিজ লবণ, প্রোটিন, ও ফ্যাট সেতু। শ্বেতসারের ভালো উৎস হলো পাকা আম।

এছাড়াও পাকা আমে রয়েছে দারুন কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা, চলুন জেনে নেই সেগুলো।

কোলেস্ট্রল নিয়ন্ত্রণঃ পাকা আম থেকে উচ্চমাএা ভিটামিন সি প্যাকটিন ও আঁশ থাকে। যা রক্তের কোলেস্টেরলের মাএাকে নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

ত্বকের যত্নঃ ত্বকের ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে আম। বিশেষ করে ত্বকের ফুসকুড়ি দূর করে ত্বকের উজ্জ্বল বাড়ায়  বাড়ায় এটি। আম থাকা উচ্চমাথা ভিটামিন সি ত্বকের কোলাজেন তৈরিকে তারান্বিত করে, যা ত্বকের বয়সের ছাপ পড়ার সমসাকে ধীরগতি করে। এছাড়া এন্টিঅক্সিডেন্ট চুলের ফলিকলকে অক্সিডেটিভ ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে যা চুল পড়া হার কমিয়ে আনে।

ক্যান্সার থেকে রক্ষাঃ পাকা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উৎপাদন যা কোলন, স্তন, নিউকেমিয়া প্রবৃত্তি ধরনের ক্যান্সার থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

চোখে সমস্যাঃ পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-এ এর উপস্থিতি রয়েছে সুমিষ্ট এই ফলটিতে। যার ড্রাই প্রবলেম কমাতেও বেশি কার্যকরী।

শরীর সুস্থঃ একটি পাকা আম থেকে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম যা শরীরের রক্ত স্বল্পতা দূর করতে এবং হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া আমে থাকা ক্যালসিয়াম শরীরে হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে। আমি থাকা এনজাইমগুলো প্রোটিন উপাদান গুলোকে সহজে ভেঙ্গে ফেলতে পারে। এতে খাবার হজম হয় দ্রুত বাঁচা যায় পাকস্থলী সংক্রান্ত অনেক রোগ থেকেও। এ ছাড়া আমে আছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

অতিরিক্ত আম খেলে কি হতে পারে

আমের ভিটামিন সি ও ক্যালরি দুইয়ের পরিমাণই যথেষ্ট থাকে। মাঝারি সাইজের আম থেকে ১৩৫ ক্যালোরি। কিন্তু যারা ওবেসিটির সমস্যায় ভুগছেন এবং ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের পক্ষে এই কারণে আম ক্ষতিকারক হতে হয়ে উঠতে পারে। তাই পরিমাণ বুঝে আম খান।

অতিরিক্ত আম খাওয়ার ফলে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এর মধ্যে ডায়াবেটিস সহ ওজন বেড়ে যাওয়া। বদহজম পেটে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি হয়। আমের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে জেনে নিন সেগুলো।

ডায়াবেটিসের রোগীঃ আম রক্তের চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এটি ফ্রুকটোজে ভরপুর। তাই যারা ডায়াবেটিসের রোগী তাদের পক্ষে আম বড় বিপদ হয়ে দেখা দিতে পারে। ব্লাড সুগার আয়ওে রাখতে তাই নিয়ম-নীতি মেনে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া একেবারেই নয়। খেলে নিয়ন্ত্রণ করে খেতে হবে।

কৃত্রিম ভাবে আম পাকানোঃ আজকাল বহুভাবে কৃত্রিমভাবে আম পাকানো হয়। ক্যালসিয়াম কার্বোহাইড্রেট ব্যবহার করা হয় আম পাকাতে। এই রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব পড়তে পারে  এর থেকে শরীরের ক্লান্তি, অবশ বোধ করা ইত্যাদি  সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু তাই নয় এইসব রাসায়নিক  ব্যবহার করার ফলে ত্বকেরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

হজমের সমস্যাঃ অতিরিক্ত আম খেলে আরও যে বড় সমস্যা হয় সেটি হলো হজমের সমস্যা  রোজ বেশি পরিমাণ আম খেলে হজম শক্তির ওপর তার প্রভাব পড়ে। শুধু তাই নয় দিনের পর দিন অতিরিক্ত আম খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেয় অনেকটা। তাই হজম ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে চাইলে ঘন ঘন আম খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

আমের আঠার সমস্যাঃ আম খাওয়ার সময় কিছু সচেতন অবলম্বন করতে হবে। খেয়াল রাখুন আমে লেগে থাকা আঠা যেন কোনভাবে মুখে লেগে না যায়। এ থেকে মুখে চুলকানি, জ্বালা হতে পারে। বেশ কয়েকদিন এর দাগ থেকে যায়। তাই আম খাওয়ার সময় এই আঠা যাতে মুখে না লেগে যায় সেদিকে নজর দিতে হবে।

আমের আঁটির উপকারিতা

এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম কপার, ফলেট এর মত উপকারী উপাদান  আমের আটিতে রয়েছে নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মরণ রোগ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। আমের গ্লাইকোসামিক ইনডেক্স খুবই কম। ফলে ডায়াবেটিসের আক্রান্তরা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে আমের আঁটি।

কিছুদিন পর বৈশাখ মাস। কিছু দিন পর বাজারে পাওয়া যাবে কাঁচা আম ও পাকা আম আমের সময় বাজারে থেকে কিনে আম খাওয়া হয়। আম খাওয়ার পর আমের সাধারণ আঁটি ফেলে দেই। তবে আপনি জেনে অবাক হবেন যে আম আনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এছাড়া আমের আঁটি অনেক রোগ সারাবে।

আমের অনেক পুষ্টিগুণ আছে যা মানব দেহের জন্য বিশেষ উপকারী। আম প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল যা স্তন, ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার এবং কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও আয়ের আন্টিএক্সিডেন্ট নিউকেমিয়া রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। আমের আঁটিও খুব উপকারী। এছাড়া এই আমের আঁটিতে অনেক রোগ সারাবে। এমন তথ্য জানা গেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।

ডায়রিয়া হলে আমের আঁটি শুকিয়ে গুঁড়ো করেন। এরপর তা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। ডায়রিয়া সারাতে খুবই কার্যকর আমের আঁটি। এ ছাড়া কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতেও কাঁচা আমের আঁটি খুবই কার্যকরী। নরম এই আঁটি কামড়েই  খাওয়া যায়। তবে এতে কোন ক্ষতি হওয়ার ভয় নেই। এছাড়া কাঁচা আমের আঁটি শুকিয়ে গুঁড়ো করে দুধের সঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন।

আমের আঁটির ঔষধি গুনাগুন

আম খাওয়ার পর আমের আঁটি ফেলে দিই। আমের আঁটি ফেলে না দিয়ে গুঁড়া করে যত্নে রাখুন কারণ এটি রয়েছে নানান গুনাগুন। গবেষণা করে জানাগেছে  প্রতি ১০০ গ্রাম আঁটিতে রয়েছে ৬ গ্রাম প্রোটিন, ২০ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ৩২ কার্বোহাইড্রেট গ্রাম, ৩ গ্রাম ডায়েটরি, ফাইবার আরো প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬ বি-১২। এ ছাড়াও আমের আঁটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এমাইনো এসিড খনিজ এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান।

আমের আঁটির পাউডার সেবন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তের শর্করার মাএা নিয়ন্ত্রণ করে। আমের আঁটির হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে এবং আমের আঁটির গুঁড়া খেলে শরীরের জন্য অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা মিলে।

পাকা আমে কোন এসিড থাকে

পাকা আমের রয়েছে টাইটানিক এসিড, মেলিক এসিড, সাইট্রিক এসিড, অক্যালিক এসিড, যা শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারি। তাই আপনি প্রতিদিন নিয়মিত পাকা আম খেতে পারেন। এছাড়াও পাকা আম অনেক উপকারিতা যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

এছাড়া আপনার শরীরে পুষ্টিমূলক ভিটামিন পাবেন। যা আপনার শরীরে জন্য অনেক উপকারি। তাই আপনি প্রতি নিয়মিত একটি থেকে দুইটি করে পাকা আম খেতে পারে। এতে আপনার শরীরে কম পরিমাণে এসিড থাকবে এবং কি ভিটামিনের ঘটিত থাকলে তা পূরণ করতে সাহায্য করবে। তাই প্রতি নিয়মিত একটি দুইটি করে আম খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

কাঁচা আম টক কিন্তু পাকা মিষ্টি কেন

কাঁচা আমের সাক্সিনিক এসিড, ম্যালিক এসিডের মতো প্রভৃত অ্যাসিড থাকে যার ফলে কাঁচা আম টক হয়। কিন্তু আমের ভেতর কিছু রাসায়নিক পরিবর্তন হয়। এবং এসিড গুলোর মধ্যে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ সৃষ্টি হয়। এর ফলে পাকা আম মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়।

কাঁচা আমের বিভিন্ন ধরনের জৈব এসিড (সাক্সিনিক অ্যাসিড ম্যালেয়িক এসিড ইত্যাদি) থাকে। আমরা জানি যে এসিড টক যুক্ত হয় তাই কাঁচা আম খেতে টক লাগে। কিন্তু যখন আম পেকে যায় তখন বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে আমে থাকা জৈব এসিড গুলো গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ পরিণত হয়। তখন পাকা আম খেতে মিষ্টি লাগে।

শেষ মন্তব্য

আজ আমরা আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে একটি আর্টিকেল লিখেছি। আমরা সকলে জানি ফলের রাজা আম। আম পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আম খেলে যেমন উপকার পাওয়া যায় তেমনি ভাবে আমি কিছু অপকারিতা ও আছে। আমরা আমাদের এই আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সঠিক নিয়ম গুলো জানিয়েছি। এবং আম খাওয়ার নিয়ম পোষ্টটিতে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url